ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় মার্কিন তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বৈঠক কোনো এ অজানা কারনে আজ অনুষ্ঠিত না হয়ে দুদিন পিছিয়ে রোববার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট্র সূত্র জানায়, ঢাকায় অবস্থিত আমেরিকা দূতাবাসের এফবিআইয়ের অফিসের প্রধান সিআইডি অফিসে আসবেন। এরপর এফবিআইয়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সিআইডির একটি বৈঠক হবে। তাদের কাছ থেকে বিশেষজ্ঞ মতামতও চাওয়া হবে। এক্ষেত্রে তদন্ত সহায়তা করতে আমেরিকা থেকেও বিশেষজ্ঞরা আসতে পারেন।
তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন,প্রথমে হ্যাকিং এবং নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংককে ঢালাও ভাবে দায়ী করায় যুক্তরাষ্ট্র প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়।পরে বিভিন্ন দৃশ্যমান প্রমানে পরিষ্কার হয়ে যায় যে এটা মোটেও হ্যাকিং ছিলোনা বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তর থেকেই এই লোপাট সংঘটিত হয়।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাকে জেরা করা হয়েছে। কম্পিউটারগুলো থেকে তথ্য কপি (ইমেজিং) করা হয়েছে। ইন্টারপোলের কাছে বিদেশি অপরাধীদের তথ্য চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিগগিরই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। শুক্রবার সকালে সিআইডি কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যা তদন্ত দলের প্রধান ডিআইজি সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান।
২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের সংবাদ মাধ্যম ইনকোয়ারারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল হ্যাকাররা। এ প্রচেষ্টায় দুই ধাপে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করলেও ৮৭০ মিলিয়ন ডলার পাচারে ব্যর্থ হয় তারা।
এতে আরো জানানো হয়, সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি করা অর্থ ফিলিপাইন ও শ্রীলংকার ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়।