দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ শেষ পর্যন্ত ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এককালের লাস্যময়ী অভিনেত্রী ও চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি।
রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
হাসপাতালটির চিফ কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট শাগুফা আনোয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
দিতি বেশ কিছুদিন ধরে এখানে কোমায় ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মস্তিষ্কে ক্যান্সারজনিত কারণে চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রামাটোলজিতে (এমআইওটি) ভর্তি হয়েছিলেন দিতি।
প্রথম দফার চিকিৎসা শেষে ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। কিন্তু কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে আবারও অসুস্থ পড়েন। তখন তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। অবস্থা অপরিবর্তিত থাকার কারণে গত বছরের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাকে চেন্নাই নেওয়া হয়।
১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মছিলেন দিতি।
১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো আজমল হুদা মিঠু পরিচালিত ‘আমিই ওস্তাদ’। জীবদ্দশায় প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন দিতি। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে দারুণ অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
ঐসময় তখনকার সাড়া জাগানো চিত্রনায়ক সোহেল চোধুরীকে বিয়ে করেন দিতি ।তাদের দুটি সন্তান।পরবর্তিতে ৯০এর দশকে সোহেল চোধুরী আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন দিতি।
ছোট পর্দায়ও দিতি ছিলেন নিয়মিত। অনেক একক নাটক, টেলিছবি ও ধারাবাহিক নাটকে দেখা গেছে তাকে। এ ছাড়া রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছেন। গায়িকা হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন দিতি। বেরিয়েছে তার একক অ্যালবামও।তার করা বিজ্ঞাপন গুলোও সমান প্রশংসিত হয়েছে।