ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের চুরি যাওয়া ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই টাকা এরই মধ্যে ‘কালো গহ্বরে’ পতিত হয়েছে। কালো পথে চলে গেছে বিভিন্ন ক্যাসিনোতে। সেখান থেকে এ টাকা তুলে আনার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এমন সতর্কতা দিয়েছেন ফিলিপাইনের বিশেষজ্ঞরা।
এর মধ্যে রয়েছেন সিনেটর সার্জিও ওসমেনা তৃতীয়, সিনেট ব্লু রিবন কমিটির চেয়ার সিনেটর তিওফিস্তো গুইঙ্গোনা তৃতীয়।
সিনেটর ওসমেনা বলেছেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, এ অর্থ এরই মধ্যে দেশের বাইরে চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এখন এ অর্থ উদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করে ক্যাসিনোগুলোর সহযোগিতার উপর।
উল্লেখ্য রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) জুপিটার শাখা থেকে ওই অর্থ উত্তোলনের পর তা চলে যায় ক্যাসিনোগুলোতে।
সিনেটর তিওফিস্তো গুইঙ্গোনা বলেছেন, চুরি যাওয়া ওই অর্থ কালো গহ্বরে তার পথ করে নিয়েছে। সেখান থেকে এ অর্থ ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন। আজ আবার সিনেট রিবর্ন কমিটিতে এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এ অর্থ চুরি যাওয়ার পর তা কোথায় কোথায় কোন কোন ক্যাসিনোতে গিয়েছে তা নির্ণয়ের চেষ্টা থাকবে সেই শুনানিতে।
সিনেটর ওসমেনা বলেন, আমরা ক্যাসিনোগুলোর কাছ থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবো। আমরা সোলাইয়ার’এর প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি নি। কারণ, তিনি ছিলেন দেশের বাইরে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাসিনোগুলোর কাছে জানতে চেষ্টা করা হবে টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে। এ বিষয়ে তাদের রেকর্ডও চাওয়া হবে। যাতে বোঝা যায় তারা কি পরিমাণ অর্থ পেয়েছে এবং তার মালিক কে। এছাড়া ক্যাসিনোগুলো থেকে টাকাগুলোর স্থানান্তর নিয়ে ‘ইলেকটোরাল ট্রায়াল’ খোঁজা হবে।
সিনেটর ওসমেনা বলেন, আমি আশা করি ক্যাসিনো গুলো ইলেকট্রনিক ট্রায়াল সরবরাহ করবে। আমরা জানি না তারা কিভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে। এখানে আইনের রয়েছে অনেক ফাঁকফোকর। এসব ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যেতে পারে।
ক্যাসিনোগুলো আইনের দোহাই দিয়ে কি কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিনেটর ওসমেনা বলেন, দেশের আইন সরকারের চেয়ে অপরাধীদের বেশি রক্ষা করে।
এক্ষেত্রে তিনি গত মঙ্গলবারে সিনেট শুনানিতে আরসিবিসি কর্তকর্তাদের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তারা আইনের দোহাই দিয়ে সব কথা সেদিন খুলে বলেন নি।