ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে জননন্দিত নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীন করার দুঃসাহস হাসিনা সরকারের জন্য অবসম্ভাবী পতন ডেকে আনবে এবং এই অপশাসনের জন্য আওয়ামী লীগকে একদিন অবশ্যই আসামীর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারীর প্রতিবাদে কানাডা বিএনপি আয়োজিত বিশেষ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কানাডা বিএনপি নেতা মারিফুর রহমান মারিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সভা পরিচালনা করেন কানাডা বিএনপি নেতা আবুল বাসার মানিক ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরও বলেন, অবৈধ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে এক খোলা কারাগারে পরিনত করেছে।হাজার হাজার বিএনপি নেতা কর্মীকে গুম ,খুন এবং মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।
এতো কিছুর পরও বিএনপিকে কাবু করতে না পেরে জনগনের অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার হীন পরিকল্পনা করছে এই বাকশালী সরকার।কিন্তু এই জনসমর্থনহীন ফ্যাসিস্ত সরকার ভূলে গেছে যে নিরস্ত্র সাধারন জনগন জেগে উঠলে তারা পালাবার পথ পাবেনা।
আজকের প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য্ রাখেন, কানাডা বিএনপি নেতা সর্বজনাব ,মাহমুদুল ইসলাম সূমন , এম জয়নাল আবেদীন জামিল , মোঃ নাসির উল্লাহ , কামরুল হাসান ফারুক হাওলাদার , মোঃ আবদুল মান্নান , জিয়াউল হক জিয়া , রফিকুল ইসলাম , এজাজ আকতার তৌফিক , ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজু , মোহাম্মদ শহিদউল্লাহ , মকসুম তরফদার ,নুরনবী রশিদ , সিরাজুল ইসলাম মিজি , মোঃ মোস্তাহিদ আহমেদ মুকু , আবদুল হামিদ বুলবুল , জুবের আহমেদ ,প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি কর্মী দের উপর লাগাতার জেলজুলুম,গ্রেফতার এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমানাদী কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের জোর দৃষ্টি আকর্ষনের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিবাদ সভায় , বিএনপির সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহার পদ প্রাপ্তিতে ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহিত।
এছাড়াও সম্প্রতি মনট্রিয়লে আওয়ামী মদদপুষ্ট লেজুড় সংগঠন সম্বিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভায় কানাডা বিএনপির কার্যক্রমের কুৎসা রটনা ছাড়াও কানাডা বিএনপি সিনিয়র নেতা এজাজ আকতার তৌফিককে রাজাকার আখ্যায়িত করে অপমানজনক বক্তব্য দেয়ায় এই সভায় তীব্র প্রতিবাদ করা হয় এবং অবিলম্বে এবিষয়টির সত্যতা যাচাই পুর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয় ।