ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানী ঢাকার অদূরে কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে নবনির্মিত এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম কারাগার , ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকাল ১০টায় তিনি নবনির্মিত এ কারাগারের উদ্বোধন করেন। নতুন এ কারাগারটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ’।
৪ হাজার ৫৯০ জন বন্দীকে রাখার জন্য এ কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে কারাগারটি স্থানান্তরিত হচ্ছে।
প্রায় সোয়া ২০০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় কারাগারটি।
একই সাথে বদলে যাচ্ছে কারা স্থাপনার লাল রং বা লাল দালানের কথাটি। যে কারণে বর্তমানের আধুনিক এ কারাগারটির দেয়ালের রং সাদা করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নবনির্মিত এ কারাগারটিতে শুধু পুরুষ বন্দীদের রাখা হবে। পুরুষ কারাগারটির পাশে নতুন একটি মহিলা কারাগার নির্মাণাধীন রয়েছে।
মহিলা কারাগারটির নির্মাণ শেষ হলে নারী বন্দীরা থাকতে পারবেন। বর্তমানে পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডে স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নতুন কারাগারটির দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার।
১৭৮৮ সালে স্থাপিত পুরান ঢাকার এ কারাগারটি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম এক সাক্ষী। উদ্বোধনের পরই কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা প্রায় ৮ হাজার বন্দীকে স্থানান্তরের কাজ শুরু করবে।
১৯৮০ সালে বর্তমানের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এটি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হচ্ছে। বিশ্বের আধুনিক সকল কারাগারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কারাগারটি নির্মাণ করা হয়।
মোট ১৯৪ দশমিক ৪১ একর জমির ওপর এ কারাগারটি অবস্থিত। এ এলাকায় মোট তিনটি কারাগার নির্মাণ করা হবে।
এর মধ্যে পুরুষ কারাগার দুইটি আর মহিলা কারাগার ১টি। মহিলা কারাগারটিতে ২শ’ বন্দীকে রাখা যাবে। প্রতিটি পুরুষ কারাগার ৩১ একর জমিতে তৈরি করা হচ্ছে। আর মহিলা কারাগারটি তৈরি হবে ১১ একর জমির ওপর।
২০০৬ সালের একনেকে এ কারাগারটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।