রাকেশ রহমান : আমি বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি নিরাপত্তার অভাবে ও রাজনীতির প্রতিহিংসার কারনে প্রবাসে অবস্থান করছি। রাজনীতির দর্শনে আমি প্রতিফলিত।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে যখন আমি বহিঃবিশ্বের সরকার ব্যবস্থা ও গনতন্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করি তখন নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে হেও মনে হয়। পৃথিবীর সকল মানুষের রক্তের রঙ লাল, হাড় মাংসে গড়া কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতালোভী মানুষরা চিরস্থায়ী করার লক্ষে কি দিয়ে গড়া ?
লজ্জা, সত্য মিথ্যার ভেদাভেদ সব ভুলে মনুষ্যত্বই তো হারিয়ে ফেলছে। তাদের ভুল গুলোর পর্যবেক্ষণ করার সময় নেই। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দিবস পালনের বদলে স্বৈরাচার দিবস পালনের জন্য সরকারী ছুটির অনুরোধ জানানো ছাড়া আর কোন অনুরোধ জানানোর রুচি আমাদের নেই।
কোথায় আমরা উচ্চাআক্ষাঙ্খা নিয়ে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে যেতে নতুন পথ খুঁজে ইতিহাস পাতা থেকে উন্নয়নশীল দেশ গুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো, তা না করে বরং আমাদেরকে ফিরে তাকাতে হচ্ছে বার বার বিশ্বের সেই সওর দশকের স্বৈরাচারী সরকার গুলোর পতনের দিকে আর বর্তমান বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক পরামর্শ দিতে।
লেখক সাংবাদিক বার্গাস ইয়োসা গভীর ভাবে সমাজ সচেতন। তিনি মনে করেন যে রাজনীতি রাজনীতিবিদদের একচেটিয়া অধিকার নয়। লেখক এবং সংস্কৃতি কর্মীরাও রাজনীতিতে গভীর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বর্তমান বিশ্বে রাজনীতিকে এড়িয়ে থাকার অবকাশ নেই। তিনি মনে করেন বর্তমান সমাজের প্রধান সমস্যা সহনশীলতার প্রকট অভাব।
সহনশীলতার অভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র থাকে না। তেমনই বাংলাদেশের একজন দেশ প্রেমিক বুদ্ধিজীবি লেখক উপস্থাপক কোটি কোটি নিরিহ মানুষের ভালোবাসার ব্যক্তিত্ত্ব শফিক রেহমান। শফিক রেহমান যিনি একক চেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষের মন বিকেশিত করতে সক্ষম হয়েছেন।সারা জাগিয়েছেন প্রকৃত ভালোবাসা বাংলাদেশে।
১৪ ই ফ্রেবরুয়ারী ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশে চালুর প্রবর্তক। নিজেও একজন সফল সৎ আদর্শ প্রেমিক। মনটা অনেক উদার কখনও ক্ষমতার লোভ তার ছিলোনা।
মন্ত্রী হওয়া সবার স্বপ্ন থাকে আর শফিক রেহমান ২০০১ তথ্য মন্ত্রীর হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও হননি একেই বলে ব্যক্তিত্ব। এই শফিক রেহমান দেশকে ভালোবাসে বলেই বিলাসিত নিরাপদ লন্ডনের জীবন ছেড়ে দেশের মাটিতে পরে ছিলেন সাধারন মানুষের মত। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কম বেশি বাংলাদেশের সব লেখক ব্যক্তিবর্গদের চিনি কিন্তু সৎ দেশপ্রমিক শুধু শফিক রেহমানকেই বলতে পারি চোখ বন্ধ করে।
আমরা কোন জাতি আমরা শুধু নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারি,তাই না ??? একবার চিন্তাও করিনা যেই ব্যক্তিকে ক্ষমতার জোরে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় জেলে পাঠাচ্ছি সেই ব্যক্তির ঘৃন্যা কি পরিমান হতে পারে আমাদের প্রতি তা আমরা কল্পনাও করতে পারবো না।
আমাদের দেশ কোথায় যাচ্ছে??? শফিক রেহমান একজন আন্তর্জাতিক মানসম্মত সুপরিচিত সাংবাদিক যা আমাদের দেশের জন্য গর্ব। ৭১'এর মুক্তিযুদ্ধে সুদূর লন্ডনে বসে দেশের স্বাধীনতার জন্য রাত দিন বিদেশী সংবাদ মাধ্যম গুলোর সাথে কাজ করেছেন।
শফিক রেহমানকে দেশের গনতন্ত্রের জন্য এরশাদের সময় ক্ষমতার অপ্রব্যাবহারে নির্বাসিত থাকতে হয়েছিল। তিনি তার নিজ চেষ্টায় এক অসাধারন ভালোবাসার বন্ধন তৈরী করেছিলেন গোটা দেশে। শফিক রেহমান সম্পর্কে বলে বা লিখে শেষ করা যাবেনা।
আজ সেই ভালোবাসার দেশে এরকম একজন সৎ আর্দশবান দেশ প্রেমিক ব্যক্তি শফিক রেহমানকে শুধুমাত্র ভিন্ন মতের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে কলঙ্ক করল আমাদের দেশের ঐতিহ্য, অপ্রমাণিত করলো দেশ প্রেমিককে। ধিক্কার এই ক্ষমতাকে,ধিক্কার এই মানুষিকতা,সময় কাউকে ক্ষমা করেনা।
এক নায়কতন্ত্র ও বাকশালীর কারণে শেখ মুজিবর রহমানের পতন , স্বৈরাচারী শাসনের কারণে এরশাদের পতন এবং সময় তার নিজ গতিতে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারেরও পতন দেখিয়ে দিবে। মানবিক দিক থেকেও তার মানবধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
৮০ বছরের উপরের এই ব্যক্তিকে শুধু শুধু মিথ্যা ভাবে জেলে নিয়ে যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে তা জঘন্য রুচির বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে শফিক রেহমানের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
লেখকঃপ্রেসিডিয়াম সদস্য ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি