ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পত্রিকাওয়ালারা আজকাল এমনভাবে লেখেন যেন দেশের সমস্ত মানুষ হতাশায় ডুবে আছেন। আমরা যখন উন্নয়ন করি, তখন সেটা পত্রিকায় ছাপানোর জায়গা থাকে না। কোনো প্রতিকূল ঘটনা ঘটলেই সেটা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ভালো কাজ করলে সেটা চাপা পড়ে যায়। শুধু একপেশে লিখলে হবে না , মানুষকে ভালো কাজের বার্তাটাও দিতে হবে।’
এছাড়াও পাসপোর্ট সেবার মান বাড়াতে প্রতি জেলায় জেলায় পাসপোর্ট অফিস করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে উন্নতমানের ‘ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট’ প্রবর্তনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস ছাড়াও মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনা, পটুয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও দিনাজপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার পাসপোর্ট সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চায়। আজও দেশের বিভিন্ন জেলায় পাসপোর্ট অফিসের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে দেশের প্রত্যকটি জেলায় পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করা হবে। জনগণ নিজ ঘরের কাছ থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবে।’
এসময় তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশে (ইতালি) গিয়েছিলাম তখন পাকিস্তানে করাচি গিয়ে পাসপোর্ট করতে হয়েছে। ভিসার জন্যও পাকিস্তানে গিয়ে একদিন থেকে ভিসা করাতে হয়েছে।’
আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ২০১০ সাল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরি করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিমান কর্তৃপক্ষকে ই-টিকেট করার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ যেহেতু অন-লাইনে ভিসা পাওয়া যায় এবং সেই সঙ্গে টিকেট পেতে পারে।’ এটা করতে পারলে দুর্নীতি অনেকটা রোধ হবে বলে যোগ করেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের বার্ষিক উন্নয়নে ৯০ শতাংশ নিজের টাকায় করছি। আমরা কারো কাছে মাথা নত করবো না। কারণ এটা আমাদেরকে জাতির পিতা শিখিয়ে গেছেন। বাঙালি জাতি আরো উন্নত হবে। আমরা আর নিচে থাকবো না। আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশ। ২০২১ সালের আগে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো। যে যেখানে আছেন মনে রাখবেন এটা আমাদের দেশ। সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।’