ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ন স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকার কারণে দেশে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ়তর হচ্ছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে দেশ ও বিদেশে যুযোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। জনগণের সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের জনবল বৃদ্ধিসহ বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যানবাহন, যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ বহুমুখী পদক্ষেণ গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সকল প্রকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্রসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল উদ্ধার কল্পে পুলিশের নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান এবং ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো: রুস্তম আলী ফরাজী প্রধান মন্ত্রীর কাছে জানতে চান মুসলিম বিশ্বের একমাত্র নেতা হিসেবে আপনার সম্মানজনক অবস্থান পাওয়ার মূল কারণ কী?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দৃশ্যমান ভূমিকা রেখে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ৫০ জন নেতাদের তালিকায় আমাকে অন্তর্ভূক্ত করেছে।
এছাড়া গত বছরের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রভাবশালী সাময়িক ‘ফরেন পলিসি’ আমাকে বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের একজন হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এসব অর্জন এদেশের সকল মানুষের। ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে শিল্পায়ন। মোট দেশজ উৎপাদনে অর্থনীতির এ গুরুত্বপূর্ণ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল স্থির মূল্যে ২১.৭৯ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে স্থির মূল্যে ৩১.২৮ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে শিল্পায়ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বিনিয়োগে অভূতপূর্ব সাফল্যের একটি বড় প্রমাণ হচ্ছে আমাদের জিডিপি। আমাদের মাথাপিছু আয় গত বছরের ১ হাজার ৩১৪ ডলার থেকে ১ হাজার ৪৬৬ ডলার এবং জিডিপি ৭.০৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।