ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগ জনগনের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। এরা জোর করে ক্ষমতায় বসে লুটপাট করছে। আর নতুন নতুন আইন করছে।তাইতো আজকে তারা মানুষকে মানুষ মনে করে না।
আজ রোববার বিকেল রাজধানীর সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে “নিরাপদ কর্মক্ষেত্র , বাচাঁর মতো মজুরী এবং গুম-খুন, হয়রানী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে” এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আরও বলেন, দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন খুন হচ্ছে। গুপ্তহত্যা ও অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ব্লগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক, প্রকাশক, বিদেশি নাগরিক, দূতাবাস কর্মী এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ ধরণের হামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছে।
মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এর আগে দুপুর দেড়টায় কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। মঞ্চের উপরের দিকে সামনে একটি ব্যানারে লেখা ছিল- আমি একজন শ্রমিক এবং এই পরিচয়ে আমি গর্বিত- জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে কেমন নির্বাচন হয় তা সবাই দেখছে। ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সাধারণ মানুষকে মেরেও ফেলে। নির্বাচন কমিশন এসব দেখেও কোন পদক্ষেপ নেয় না।এক্ষেত্রে হাসিনাও যে রকম আর তার নির্বাচন কমিশনও সে রকম।
খালেদা জিয়া বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেই শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করেছিল। এ থেকে আমাদেরও শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন, মহান মে দিবসে সকল শ্রমিকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। শ্রমিক ভাইরা আজ অনেক নির্যাতিত। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অনেক টাকা উঠানো হয়েছে। এটাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগারদের।
শ্রমিকদের কল্যানার্থে বিএনপি 'শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশন' তৈরি করেছে বলে জানান তিনি।
এটাই যথেষ্ট নয়, শ্রমিক, ছাত্র, কৃষক সকল পেশার লোকদের জন্য খালেদা জিয়া বলেন, সরকার আজ কাউকে কোনো নিরাপত্তা দিয়ে পারছেনা। তবুও দাবি করছে, পরিস্থিতি খুব স্বাভাবিক। যা কিছু ঘটছে তা সবই নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য শুধু পকেট ভর্তি করা এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত তিন মাসে পত্রিকার হিসাবে দেড় হাজার লোক খুন হয়েছে। দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। শেয়ার বাজার থেকে লক্ষ কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকে লুটপাট হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আহমেদ বীর বিক্রম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার , সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আসলাম চৌধুরী, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আবু জাফর, মহিলা দলের সভানেত্রী নূরী আরা সাফা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক,
আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, এম এ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল বারী হেলাল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর যুবদলের উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির প্রমুখ।