ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক নজরদারি করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
ইতিমধ্যে র্যাবের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ একটি সফটওয়্যার আনা হয়েছে। সফটওয়্যার পরিচালনার জন্য অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আনা এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচার-প্রপাগাণ্ডাসহ সাইবার ক্রিমিনালদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
র্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে বিগত দিনে চরম মানবাধিকার লংঘনকারী র্যাবের কাছে এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয়ের দায়িত্ব দেয়াটা আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা সেই বিষয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে।সাইবার ক্রাইম রোধের কথা বলা হলেও এই সফটওয়্যারটি মূলত হাসিনা সরকারের বিভিন্ন অন্যায় অবিচার বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারনা রোধ করাই হবে এর মূল উদ্দেশ্য বলে আশংখা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে র্যাবের নিবিঢ় নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। কেউ চাইলেই এখন আর সাইবার ক্রাইম করে পার পাবে না।
র্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নানা রকম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী প্রচারণা, রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকাণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, নারীদের যৌন হয়রানিসহ নানারকম সাইবার অপরাধ হরহামেশাই ঘটে থাকে।
এসব অপরাধ বন্ধের জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম (এসএমএনএমএস) নামে একটি সফটওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইস আনা হয়েছে।
প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্ন্যাপট্রেন্ডস নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এই সফটওয়্যারটি আনা হয়েছে। স্ন্যাপট্রেন্ডস আন্তর্জাতিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সফটওয়ার সরবরাহের জন্য বিখ্যাত।
এটি কমান্ড অনুযায়ী ব্যবহারকারী লোকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পারস্পরিক যোগাযোগ বার্তা, ব্যবহারকারীর পূর্ণ প্রোফাইলসহ বিভিন্ন বিষয় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে।
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ইউটিউব , ওয়ার্ডপ্রেসসহ সব ধরনের ব্লগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
ইতিমধ্যে সফটওয়্যারে পরিচালনার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ এসে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।