ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ প্রতিহিংসার রাজনীতির আরেক নজীর সৃষ্টি করতে চলেছে হাসিনা সরকার।এরই ধারাবাহিকতায় সদ্য ফাঁসীতে মৃত্যুবরনকারী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালে রাজউকের যে প্লটটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন, তা বাতিলের সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংসদীয় কমিটি।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাত্র এক দিন বাদে বৃহস্পতিবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দবিরুল ইসলাম একথা জানান।
তিনি বলেন, “কমিটিতে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধাপরাধী নিজামীর প্লট বাতিলের সুপারিশ করা হবে।” গত ১২ এপ্রিল সর্বশেষ বৈঠক করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে একটি করে বৈঠক করা কথা। সে হিসেবে চলতি বৈঠক করার থাকলেও এখনও বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়নি বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন গত বছরই যুদ্ধাপরাধী নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্লট বরাদ্দ বাতিলের দাবি জানায়।
বিচার শেষে বুধবার প্রথম প্রহরে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় মতিউর রহমান নিজামীকে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জামায়াতের আমির নিজামী খালেদা জিয়ার ২০০১ সালের সরকারে প্রথমে কৃষি ও পরে শিল্প মন্ত্রী ছিলেন।
মতিউর রহমান নিজামী তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । ‘রাষ্ট্রীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ’ মন্ত্রী নিজামীকে ২০০৬ সালের ২১ মে রাজউক পাঁচ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেয়। বনানীর ১৮ নম্বর রাস্তার এই ৬০ নম্বর প্লটটি ১৯৯৫ সালে আজিজুর রহিমের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যা বাতিল করে দেওয়া হয় নিজামীকে।
কিন্তু আগের বরাদ্দগ্রহীতা এ নিয়ে পূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিব বরাবর অভিযোগ করলে শুরু হয় তদন্ত। আজিজুর রহিমের পক্ষ থেকে ওই প্লটের বিপরীতে তিন লাখ টাকা কিস্তি পরিশোধ করার পরও তা নিজামীকে বরাদ্দ দেওয়া হ
য়। নিজামী প্লটটি বরাদ্দ পাওয়ার পর জামায়াত নেতাদের পরিচালিত মিশন ডেভেলপার লিমিটেডের নামে আমমোক্তারনামা দেন, যা রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদিত নয়। বনানী ঝিলপাড়ে জে ব্লকের ১৮ নম্বরের ওই বাড়িটির নাম ‘মিশন নাহার’। স্ত্রী শামসুন নাহার নিজামীর নামে ভবনের নামকরণ করা হয়েছে নাহার।