ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বাংলাদেশে একটি অবাধ-স্বচ্ছ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র।
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যু্ক্তরাষ্ট্র গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কার্বি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ দেখতে চাই। পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের মতোই আমরা দেশটিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা দেখতে চাই।বাংলাদেশ নিয়ে তাদের উদ্বেগ এখনো শেষ হয়নি বলেও উল্লেখ করেন দেশটির শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, 'আমরা এখনও বাংলাদেশে অবাধ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা এখনও চাই বাংলাদেশের নাগরিকরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক।
ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা এখনো দেখতে চাই যে বাংলাদেশে মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা হচ্ছে, যেমনটা আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দেখতে চাই। 'কাজেই এসব বিষয়ে এখনো আমাদের বাস্তব উদ্বেগ রয়েছে এবং তাতে পরিবর্তন আসেনি' বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ নেয়নি। ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘূ ও মুক্তমনা ব্লগারদের উপর হামলা হয়েছে। কিছুদিন আগেই ৬৫ বছর বয়সী এই মুসলিমকে হত্যা করা হয়, এর দুই সপ্তাহ পরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম খুন হন। এছাড়া সমকামীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজও আইএসের হামলায় নিহত হন। এর তিন সপ্তাহ আগেই এক হিন্দু দর্জিকে খুন করে সন্ত্রাসীরা।
এনডিটিভি জানায়, এই সব হামলারই দায় স্বীকার করে সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস।
সূত্রঃ এনডিটিভি