ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পরস্পরের মধ্যে প্রীতি ও শুভেচ্ছাবোধ আমাদের সোনালী ঐতিহ্য। বাংলাদেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পার¯পরিক সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ। আমরা ধর্মীয় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিভাজনে বিশ্বাস করিনা। আমরা সবাই বাংলাদেশী।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাক্ষরিত এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। যুগে যুগে মহামানবেরা পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্যের আলো দেখিয়েছেন, চিনিয়েছেন কল্যাণের পথ। সকল প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকুলতার মধ্যেও শুভ্রদীপ্ত সত্য ও ন্যায়ের পথে তিনি মানুষকে আহবান করেছেন।
তিনি বলেন, “হিংসা দিয়ে হিংসার ধ্বংস নয়” সে কারনেই শরণ নিতে হয় অ-হিংসার মহামতি বুদ্ধের এ বাণী চিরকালীন, আজও মানব জাতির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জাতিতে জাতিতে ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায় মানব জাতি আজ যখন ছিন্নভিন্ন, যখন মানুষ অহংকার, হিংসা আর গ্লানির মিশ্র জীবনযাপন করছে তখন মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা, মানব প্রেম ও শান্তির বাণী বিশ্ববাসীকে দেখাতে পারে মহামিলনের পথ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ নিজের জীবন গড়ে তুলেছিলেন কঠোর তপশ্চচর্যা, কৃচ্ছ্রসাধন এবং আনন্দরুপ এক মহৎ জীবনদিক্ষা ও আত্মশক্তি যা আদর্শ হিসেবে আজও মানবজাতির জন্য মানবিক সমৃদ্ধির এক অনুকরণীয় কর্মযজ্ঞ।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী-সমূহের সম্মিলিত আকাঙ্খার স্ফুরণ ঘটে। ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি এবং আগামীতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমি বুদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন।
তিনি তাঁর অনুসারীদের চিরন্তন মানব কল্যানে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্ধুদ্ধ করে গেছেন।
তিনি বলেন, শান্তি, সম্প্রীতি ও মানব প্রেম সকল ধর্মের মর্মবাণী। বর্তমান অশান্ত ও সংঘাতপূর্ণ সময়ে বিশ্ব সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের আদর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।