ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সাথে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বৈঠকের খবরকে বিএনপির সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ দাবি করেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিভিন্ন মিড়িয়ার বদৌলতে এ খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিএনপির নেতারা লন্ডনে বসে সাফাদির সঙ্গে জয়ের বৈঠক হয়েছে এ নাটক সাজাচ্ছে। বিএনপির নেতা আসলাম চৌধুরী আটক হওয়ার পর তারা যে সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র করছিল তার বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে নাটক সাজানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি ইসরাইয়েলকে নিয়ে গভীর ষঢ়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘সাক্ষাতকারটি আমি দেখেছি। সাক্ষাতকারটি নিয়েছে বিএনপির লন্ডন প্রবাসী এক নেতা জ্যাকব মিল্টন।
সাক্ষাতকারটিতে মিল্টন অনেকটা ইচ্ছা করেই সাফাদিকে প্রশ্ন করেন এর আগে আপনার সঙ্গে বাংলাদেশের কারও সাক্ষাৎ হয়েছে কি-না? সাফাদি জবাবে বলেছে হয়েছে। তার এ ধরনের প্রশ্নে বোঝা যায় এটি সাজানো।’
বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত রিপোর্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিবিসি বাংলার কোন সাংবাদিক সাফাদির সাক্ষাতকার নেন নাই। তার সাক্ষাতকারটা নিয়েছে জ্যাকব মিল্টন। সে কে? তারা নাটকটা সিডি বানিয়ে বিবিসি বাংলাকে দিয়েছে এবং তাদের প্রচার করতে বলেছে। আর বিবিসি যদি সাক্ষাতকার নিত সেটা সাংবাদিকদের নিয়েই নিত আর নিঃসন্দেহে তার গুরুত্ব থাকতো।
বিবিসির মত একটা অনলাইন পত্রিকা একজনের ধার করা ইন্টারভিউ নিয়ে প্রচার করেছে যা কারো জন্যই কাম্য নয়। যা সংবাদ জগতের জন্য কাম্য নয়। এটা দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন সংবাদের অবশ্যই প্রতিবাদ জানাবো।’
পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘কিছু বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।