DMCA.com Protection Status
title="৭

চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যাঃদায়ী জঙ্গীগোষ্টি:স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

babul copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু আক্তার নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, রবিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে বাসার সামনে মোটরসাইকেলে করে আসা তিন জন দুর্বৃত্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, খবর পাওয়ার পর তিনিসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার।

প্রথম গুলি ব্যর্থ হওয়ায় দ্বিতীয়বার গুলি এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তরা এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে আটবার ছুরি দিয়ে জখম করেছে। আর প্রথম গুলি ব্যর্থ হওয়ায় দ্বিতীয়বার গুলি করেছে।

চট্টগ্রামে রোববার সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে ১০০ গজ দূরত্বে নগরের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রামের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক মিমশ্রী বড়ুয়া জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে মাহমুদা খানমের স্ত্রীর শরীরে ছুরিকাঘাতের আটটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বুকে দুটি, পিঠে দুটি, বা হাতে দুটি ও কনুইতে দুটি ছুরিকাঘাত করা হয়। বুকের ছুরিকাঘাতের আঘাত আধ ইঞ্চি পর্যন্ত গভীর। আর কপালে বিদ্ধ গুলিটি দেড় ইঞ্চিমতো গভীরে ঢুকে।

এদিকে খুনিদের ধরতে র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবি আই) ১০টি দল মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ। তিনি আশা করেন আসামিরা ধরা পড়বে।

এসপির স্ত্রীকে হত্যার পেছনে জঙ্গি গোষ্ঠী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জঙ্গিরাই পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

  তিনি বলেন, বাবুল আক্তার একজন দক্ষ, সৎ অফিসার এবং জঙ্গি দমনে প্রচুর কাজ করেছেন। তাই তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।  

রবিবার সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেয়ার সময় তার স্ত্রী মাহমুদার মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলআরোহী হামলাকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।  

দুই মাস আগে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হয়ে ঢাকায় আসার আগে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন বাবুল আক্তার। সে সময় তার নেতৃত্বে জেএমবির আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে নেতা পর্যায়ের একজন পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন।

  জঙ্গি দমনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত বাবুল ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিলেও তার পরিবার ছিল চট্টগ্রাম শহরে ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!