DMCA.com Protection Status
title="৭

দেশব্যাপি জঙ্গি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরুঃ১ম দিনেই সহস্রাধিক আটক

policeaction copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী  ধরতে দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিন শুক্রবারেই ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) এলাকায় ১৭৭ জনসহ সারা দেশে সহস্রাধিক আটক হয়েছে।

তবে কি নীতিমালায় এই সাঁড়াসি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তা জানা না গেলেও গ্রেফতাকৃতদের অধিকাংশই বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মী এবং সাধারন মানুষ বলে জানা গেছে।

ডিএমপির আটকের সংখ্যাটি শুক্রবার রাতে নিশ্চিত করেন গণমাধ্যম শাখার ডিসি মাসুদুর রহমান।

কিন্তু পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) আটকের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।

তবে পুলিশ সদরদপ্তরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, অভিযানের প্রথম দিনেই ডিএমপিসহ সারাদেশে সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকের বিষয়ে জানতে পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দেশে ৬ শতাধিক থানা রয়েছে। এসব থানা থেকে ইতিমধ্যেই সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারের তথ্য এসেছে। কিন্তু এখনো সেগুলো যোগ করা সম্ভব হয়নি। সব থানার গ্রেপ্তার সংখ্যা আগামীকাল (শনিবার) সকালে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

’ এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ধরতে পুলিশের এ সাঁড়াশি অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা জোরদার করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিউনিটি পুলিশিংকে কাজে লাগাতে হবে।’

আইজিপি এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী খুনের ঘটনাকে অত্যন্ত নির্মম, বর্বরোচিত ও দুঃখজনক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে তিনি এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যা ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ওপর করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবুল কাশেম, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সব কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং ঢাকা, টাংগাইল, গাজীপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, বগুড়া, ঝিনাইদহ ও নাটোর জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বৃস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঘোষণা দিয়ে জঙ্গি ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করলেও শুক্রবার ভোরের দিকেই পাবনায় হিন্দু সেবাশ্রমের কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লুও জানা যায়নি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!