ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এসব গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপে মানবাধিকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হবে।
অংশীদারিত্ব সংলাপ সম্পর্কে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশেরও পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী কিভাবে কাজ করবে তার বিধিবদ্ধ নিয়ম রয়েছে। আমাদের মতে, এসব অভিযানের সময়ে ঘটা হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্ত সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিবেদন দেয়া উচিত। তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা সংশোধনের জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রে আমরা এই নিয়ম অনুসরণ করে থাকি।’
আগামী ২৩ ও ২৪ জুন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই দেশের সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেবেন।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় অংশীদারিত্ব সংলাপে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টার্গেট কিলিং, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গণগ্রেপ্তার সম্পর্কে জানতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র।
একইসাথে নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের একসাথে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করবে তারা। এই সংলাপে মোটা দাগে তিনটি ইস্যুতে আলোচনা হবে। এগুলো হলো, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সংলাপে নিরাপত্তা ইস্যুই প্রাধান্য পাবে।