ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাসের কোনো মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান শোনা যায়নি। এতে করে এলাকাবাসী অনেকেই ইফতারের সময় দুঃচিন্তায় পড়ে যায়।
এই ঘটনায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আসেন সন্ধ্যায়। এই উপলক্ষে সেনানিবাসের সমল মসজিদের মাইকে মাগরিবের আজান দেয়া নিষিদ্ধ করে ক্যান্টনমেন্ট কতৃপক্ষ।
আরও খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার অযুহাতে এই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। আজানের সময় গোলাগুলি হলে নাকি শোনা যাবে না, নিরাপত্তাবাহিনী এবং এসএসএফের যুক্তি এমনই।
উল্লেখ্য আজ সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনামালঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত ইফতার।
ইফতারে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সরকারের মন্ত্রীবর্গ, তিন বাহিনী প্রধানগন, কূটনৈতিক কোরের ডীন, সরকারের উর্ধন বেসামরিক কর্মকর্তাগন, ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে রাষ্ট্র কতৃক এভাবে আজানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইফতারে আগত অনেক মুসল্লি, এমনকি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের কথা শোনা গেছে।
বিশেষ করে পথচারী ও সড়কে চলমান মানুষেরা আজানের আওয়াজ না পেয়ে ইফতার করতে বিলম্ব করেন। অনেকে ক্ষেভের সাথে প্রশ্ন করেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে অতীতে যা কখনও ঘটেননি এটাও কি সম্ভব? এটা কি ইসরাইল?
ইসরাইলে মাইকে আজান নিষিদ্ধ। তবে হয়রানির ভয়ে দেশের সংবাদ মাধ্যম ও নিউজ পোর্টাল এ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করতে সাহস করেনি।