DMCA.com Protection Status
title=""

সরকার বিরোধী প্রচার বন্ধে গুগল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের সাথে হাসিনা সরকারের চুক্তি

Govt-google-facebook-microsoft copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা ও অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে প্রতিকার পেতে সরকারের সঙ্গে গুগল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

পাশাপাশি সরকারের অনুরোধে ইউটিউবে প্রকাশিত নীতিমালাপরিপন্থী ভিডিও প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গুগল।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে এই বিষয়ে সংশ্লিস্টরা বলছেন,এই সমঝোতার ফলে হাসিনা সরকারের অমানবিক এবং অগনতান্ত্রীক বিভিন্ন কর্মকান্ডের খবর এসব যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে এবং ফলে বাংলাদেশে  মানবাধিকার লংঘনের আরও ঘটনা ঘটবে বলে আশংখা থেকেই যাবে।

এ প্রসঙ্গে তারানা হালিম আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ফেসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সহায়তায় বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিথ্যা, মানহানিকর, অপবাদমূলক, হয়রানিমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ, জঙ্গিবাদী, ঘৃণামিশ্রিত, শিশুদের অপব্যবহার, অশ্লীল, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর বক্তব্য বা বিষয়বস্তু প্রচার ইত্যাদি রোধে এবং এসব ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে জনগণের প্রবেশ ঠেকানোসহ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।

ফেক আইডি এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত অ্যাডমিনের মাধ্যমে পরিচালিত ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট, ব্লগ ইত্যাদির ওপর বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে।

ফেসবুক তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এই প্রথম ৫৮টি অনুরোধের মধ্যে ২১টি অনুরোধে সাড়া দিয়েছে। এই প্রথম ফেসবুক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে যে, তারা ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য এবং চারটি কনটেন্ট ব্লক করেছে।

গুগলের ইউটিউবে নীতিমালা পরিপন্থী ভিডিও সরকারের অনুরোধে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এছাড়া শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে এবং সাইবার নিরাপত্তায় মাইক্রোসফটের সঙ্গেও সরকার কাজ করছে। স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করে সমঝোতা হয়েছে।

সমঝোতা অনুযায়ী অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে সরকরের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এর প্রতিকারের বিষয়ে উত্তর পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৩১ জন ব্যবহারকারীর ১২টি তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে দিয়েছে। সরকারি দলের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। তার মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের জন্য এবং ২০টি দেশের বাইরের জন্য। এসব ট্রান্সপন্ডার লিজের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। জাতীয় পার্টির সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের আগ পর্যন্ত গ্রাহকের পরিচিতি নিশ্চিত করার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পরীক্ষামূলকভাবে নমুনা যাচাই করে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ গ্রাহকের পরিচিতি সঠিক নয়। এখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহকের পরিচিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ সংগৃহীত হচ্ছে না। কেবলমাত্র জাতীয় পরিচয় তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। বায়োমেট্রিক ডিভাইসে যে অ্যাপের মাধ্যমে ছাপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে ছাপ সংগ্রহ করার সুযোগ নেই।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!