ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিভ্রান্ত, বিপথগামী কিছু তরুণের ফুটফাট গুলি ও বোমায় আতঙ্কিত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের খতিব আল্লামা ফরিদউদ্দীন মাসঊদ।
যিনি বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ইকরা বাংলাদেশ ইসলামী গবেষণা পরিষদের প্রধান নির্বাহী।
গুলশানে হামলার ষষ্ঠদিনে বৃহস্পতিবার শোলাকিয়ায় ঈদগাহে প্রবেশমুখে তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের উপর জঙ্গি হামলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘সন্ত্রাস চালিয়ে একটি গোষ্ঠী দেশজুড়ে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। এসব জঙ্গি, হামলার পর তারা নিজেদের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য হিসেবে দাবি করে।’ আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘এদের সবাই স্থানীয়।’
তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে দেশে ফুটফাট করে প্রশাসন কিংবা সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়, এটা জঙ্গিদেরও ভালো জানা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অ্যাকশনে বেশ কোণঠাসা জঙ্গি তৎপরতা। এ অপশক্তিকে প্রতিরোধে সমন্বিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে নাগরিকদেরই।’
বিপদগামী তরুণদের উদ্দেশ্যে এই ইসালামী চিন্তাবীদ বলেন, ‘জান্নাত পাওয়ার সঠিক পথ সন্ত্রাস নয়, এটা জাহান্নামের পথ।’ বিভ্রান্ত এসব তরুণদের ইসলামের শাশ্বত শান্তির পথে ফেরার আহ্বান জানান আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা এবং ইসলামের নামে গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে দেশের ১ লাখ ১ হাজার ৮৫০ শীর্ষ আলেমের সই সম্বলিত যে ফতোয়া প্রকাশ করা হয় সেটির সমন্বয়ক ছিলেন আল্লামা মাসঊদ।
ওই ফতোয়ায় বলা হয়, ইসলাম ধর্ম মানুষ হত্যা অনুমোদন করে না। কিছু বিপদগামী ইসলামের নামে মানুষ খুন করছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামের নামে তরুণদের বিপথে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে একশ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী। এ থেকে তরুণদের বাঁচাতে সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার।
এ চেষ্টায় শরিক হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের খতিব আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ।