DMCA.com Protection Status
title="৭

উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার ভাষনের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছেঃ ড.জাকির নায়েক

zakirn copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তার ভাষণের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রখ্যাত ইসলামপ্রচারক জাকির নায়েক।

তার ভাষণে জঙ্গিদের অনুপ্রাণিত হওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।

বাংলাদেশে হামলায় জড়িত এক জঙ্গি তার ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েছিল, এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই ধর্মপ্রচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।

এ খবর পাওয়ার পর জাকির নায়েক তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তার দাবি, তার ভাষণের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

জাকির নায়েক বলেছেন, ভারতের সংবাদমাধ্যমে তার ভাষণের একটি অংশ দেখানো হচ্ছে, যেখানে তিনি বলছেন প্রত্যেক মুসলিমেরই সন্ত্রাসবাদী হওয়া উচিত। এটা তাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই দেখানো হচ্ছে।

তিনি আসলে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভয় দেখায়, সে ব্যক্তিই সন্ত্রাসবাদী। একজন পুলিশকর্মী ছিনতাইবাজকে ভয় দেখায়। তাই ছিনতাইবাজের কাছে পুলিশই সন্ত্রাসবাদী। তাই সমাজবিরোধীদের কাছে মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী হতে হবে।

বাংলাদশ সম্পর্কে ড.জাকির নায়েকের বক্তব্যঃ

‘জঙ্গিবাদ গ্রহণের জন্য আমার বক্তব্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে’ বাংলাদেশের কোনো কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন পিস টিভির পরিচালক ও খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ ডা.জাকির নায়েক।

জাকির নায়েক শনিবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ঢাকায় নিরীহ কিছু মানুষকে হত্যার জন্য আমার বক্তব্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, এটা তারা বিশ্বাস করেন না। এটা ভিন্ন বিষয় যে, হামলাকারী আমার একজন ভক্ত।’

ওই ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব জুড়ে আমার কয়েক কোটি ভক্ত আছে। বাংলাদেশেরও অর্ধেকের বেশি মানুষ আমার ভক্ত। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিরীহ মানুষকে হত্যায় আমি উস্কানি দিচ্ছি এমন মন্তব্য করা নিশ্চিত ভাবেই শয়তানের প্ররোচনার মত’।

এ সময় সংবাদে প্রকাশিত বিভিন্ন দেশে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে একবার মাত্র একটি দেশ আমার প্রবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। দেশটি হল যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া অন্য কোনো দেশ আমার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই’।

তিনি আরো বলেন, ‘আর মালয়েশিয়ায় আমার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যারা বলছেন, তারা বোকা ছাড়া আর কিছু নন। কেননা তিন বছর আগে আমি মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ পুরস্কার তোকোহ মাল হিজরাহ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।’

‘বিগত ২৫ বছরের মধ্যে আমি চতুর্থ বিদেশি নাগরিক হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেছি। তারা কি এমন কাউকে পুরস্কৃত করবে, যে সন্ত্রাসবাদ ছড়ায়?

আসলে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো কোন বাছবিচার ছাড়াই ঢাকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো ছাপিয়েছে।’

ঢাকার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাকির নায়েকের বেশ কিছু বক্তব্যকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশে হওয়া দুইটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সেখানে জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উদ্বৃতি দিয়ে সেখানে বলা হয়, ‘জাকির নায়েক এখন আমাদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছেন। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তার বক্তব্য যাচাই করে দেখছে’।

এদিকে এ ঘটনার পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার জাকির নায়েকের গতিবিধির দিকে নজর রাখছে। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!