ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেষ পর্যন্ত সর্বসাধারনের প্রবল বিরোধীতার মুখেও বিতর্কিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারত হেভি ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের (বিএইচইএল) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।
দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবীদগন এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের পরিবেশের ব্যপক ক্ষতির আশংখা করে তার বিরোধীতা করলেও হাসিনা সরকার এই যুক্তি কোনভাবেই গ্রাহ্য করেনি।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ চুক্তি সই হয়।
বিআইএফপিসিএলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চুক্তি অনুয়ায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ইলাহি চৌধুরী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, ভারতের বিদুৎ সচিব প্রদীপ কুমার পূজারী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতের এনটিপিসি চেয়ারম্যান গুবদীপ সিংহ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল হাসান মিঞা, বিএইচএল প্রতিনিধি প্রেম পাল যাদভ এবং বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য।
১৩২০ মেগাওয়াট এ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতার পর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের এই কাজ পেল।
ভারতের এক্সিম ব্যাংক ১ শতাংশের বেশি কিছু সুদে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য অর্থায়ন করছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'কারিগরি কারণে' চীনের হারবিন ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড এই কাজটি পায়নি।
তবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের মুখপাত্র আনোয়ারুল আজিম জানান, বিএইচইএল সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ায় কাজ পেয়েছে।