ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জঙ্গিবাদ ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জড়াবে না জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির ঘোষিত 'জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফর্মে' যোগ না দিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি দেবে তারা। আগামী দিনে দল দুটির সম্পর্ক কেমন হবে, তা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বিএনপির ওপরই ছেড়ে দিতে চায় জামায়াত।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ছাড়বে না জামায়াত।
গত ১ জুলাই গুলশানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঐক্য চাইলে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে।
গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানেও জামায়াত ছাড়ার দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল বৈঠকে বসেন জামায়াত নেতারা। নির্বাহী পরিষদ ও কর্মপরিষদের আট-নয় সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারাই বর্তমানে দল পরিচালনা করছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মপরিষদ সদস্য এসব তথ্য জানান। বৈঠকে উপস্থিত জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ পরিস্থিতিতে বিএনপিও ছেড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে বলে আশঙ্কা করছেন জামায়াত নেতারা। গতকালের বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা অবশ্য আশাবাদী- বিএনপি তাদের সঙ্গে জোট ভাঙবে না।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জামায়াত নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। ২০ দল ছাড়বে না। বিএনপি যাতে অস্বস্তিতে না পড়ে, সে জন্য জঙ্গিবাদবিরোধী 'জাতীয় ঐক্য' থেকে দূরে থাকবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া জামায়াতের এক নেতা জানান, খালেদা জিয়া জঙ্গিবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণার পর জামায়াত এ ইস্যুতে পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করবে। জঙ্গি ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কোনো কর্মসূচি হবে না।