ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে পুলিশকে এ বিষয়ে তথ্য দিলে ১০ লাখ টাকা এবং জঙ্গি আস্তানা ও জঙ্গিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার জঙ্গি আস্তানা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজে পরিচালিত অভিযান শেষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ পুরস্কার ঘোষণা করেন।
রোববার রাত থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত চলা এই অভিযানে র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের ৪৫০ জন সদস্য অংশ নেন। অভিযানে ৯টি জিহাদী বই ও কয়েকটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
জঙ্গি প্রশিক্ষণ আস্তানার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দির দুর্গম চরকাজলা ও ধুনটের নিমগাছি ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে বিকালে কাজলার টেংরাকুড়ায় শাহজালাল বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সেখানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) মতো নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন থেকে কেউ ফিরে আসতে চাইলে ও পাশাপাশি জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য দিলে ফিরে আসা ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
একই সঙ্গে ফিরে আসা ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসনে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। আর জঙ্গি আস্তানা বা জঙ্গিদের বিষয়ে যে কেউ তথ্য দিলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে সন্ধানদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, শোলাকিয়া হামলায় জড়িত শফিউলকে সারিয়াকান্দিতে জঙ্গি আস্তানায় প্রশিক্ষণ দিতে আনা হয়েছিল। তাকে বোটে করে দুর্গম চরকাজলার জামথৌল ঘাট হয়ে টেংরাকুড়া এলাকায় নেয়া হয়। এরপর প্রশিক্ষণ দিয়ে শোলাকিয়ায় হামলার জন্য পাঠানো হয়।
র্যাবের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলেও জানান তিনি। অভিযানে ৯টি জিহাদি বই, তিনটি চাপাতি, তিনটি ছুরি এবং একটি তারের কুণ্ডলী পাওয়া গেছে। এতে বোঝা যায়, এটি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অভিযানের খবর পেয়ে তারা আস্তানা গুটিয়ে চলে গেছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১২ এর কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, বোঝা যাচ্ছে এখানে জঙ্গি আস্তানা ছিল। তাই অভিযান শেষ হয়েছে বলা যাবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে।