DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

দ্বৈত নাগরিকরা দলীয় নির্বাচন ও সাংবিধানিক পদে অধিষ্টিত হতে পারবেন না- এইচ টি ইমাম

htimam copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিএনপি‘র মিথ্যা বানানোর মেশিন আছে । একটি মহল দেশে বিদেশে বাংলাদেশ  বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে।বিএনপি লবিষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে একটি মহল দেশে বিদেশে অপব্যাখা করছে, এতে বিভ্রান্ত হবার কোন কারণ নেই, সরকার কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নিবেনা বা কারো সম্পদ ও হারানোর কোন সুযোগ নেই।

গতকাল ২০জুলাই লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা এবং সফরকারী নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এই কথাগুলো বলেন।

তারা বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নাগরিকত্ব দেবার প্রস্তাব করা হয়েছে এই আইনে। তবে যারা দ্বৈত নাগরিক, তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন,কিন্তু দলীয় কোন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বা সাংবিধানিক কোন পদে অধিষ্টিত হতে পারবেন না। তা করতে হলে তাদের বিদেশী নাগরিকত্ব  ত্যাগ করতে হবে। আর এনিয়ে একটি মহল দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এইচ.টি.ইমাম বলেন, বিএনপি লবিষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বৃটেনের সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। এই সেমিনারে যোগদানের মাধ্যমে আমরা আমাদের কথা গুলো তুলে ধরতেই গেলো আট বছর যাবত এই সেমিনারে অংশ গ্রহন করে আসছি। নতুবা বিএনপি একতরফা মিথ্যাচার চালিয়ে যাবে। প্রতি বছর সেমিনার আয়োজন কারীরা ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদলকে আমন্ত্রন জানিয়ে থাকেন। এবছরও তারা আমাদের এবং বৈধ প্রধান বিরোধীদল জাতীয়পার্টি এবং বিএনপিকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন সেমিনারে আগত ডেলিগেটদের সকলে বক্তব্য দিতে পারেননি।

এইচ.টি. ইমাম বলেন বাংলাদেশে সমতা ভিত্তিক উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন জঙ্গিবাদ নির্মুলে সরকার জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী জঙ্গি দমনে সকলের সহযোগীতার প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশই বাংলাদেশকে জঙ্গি দমনে সহায়তা করতে আগ্রহী।

এইচ.টি. ইমাম বলেন, বিএনপি ঘুরে ফিরে একই কথা বলতে চায়-বারবারই তাদের বক্তব্যে দুটি বিষয় উঠে আসছে মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং কেয়ার টেকার সরকার পদ্ধতি।

মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমি সেমিনারে পরিস্কার করে বলেছি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে কেয়ার টেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে এবং এটি সংবিধান স্বীকৃত সুতরাং সংবিধানের বাইরে কারো যাবার সুযোগ নেই। কেউই যেতে পারবেনা। বেগম খালেদা জিয়া বলছেন মধ্যবর্তী নির্বচান হলে দেশে আর জঙ্গিবাদ থাকবেনা। কিন্তু জঙ্গিবাদের সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই । জঙ্গিবাদ এখন বিশ্বের প্রতিটি দেশে। আর কোন দেশে তো কেউ এমন কথা বলছেনা। তিনি বলেন নির্বাচন দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের নয় নির্বাচন কমিশনের।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান মন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে হ্রাস পেয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। তিনি বলেন একদিকে বিশ্বমন্দা ,অন্যদিকে দেশের ভেতর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ ষড়যন্ত্র সব কিছুকে উপেক্ষা করে দেশে প্রবৃদ্ধির গ্রউথ এখন ৫.৭% মানুষের মাথা পিছু আয় ১,৪৬৬ ডলার। এটি শেখ হাসিনার সরকারে সবচেয়ে বড় অর্জন।

মন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বিএনপি লবিষ্ট নিয়োগ করছে । এই লবিষ্টরা তাদের দায়িত্বের বাইরে এমন সব বিষয় প্রচার করছে, যার জন্যে একটি দেশ এবং জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমার বিশ্বাস তারা এব্যাপারে আরো সতর্কতা অবলম্বন করবেন। তিনি বলেন আমরা পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতে যদি এই সেমিনারে জামাতের কেউ উপস্থিত থাকে, তাহলে আমরা সেমিনারে অংশ নেবানা।

তারানা হালিম বলেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল বাংলাদেশের জামাতকে একটি সন্ত্রাসী দলহিসেবে চিহ্নিত করেছে। সুতরাং সন্ত্রাসীদের সাথে আওয়ামীলীগ একই টেবিলে বসতে পারেনা। এই সেমিনারে জামাতের একজন প্রতিনিধি প্রশ্ন-উত্তরের সুযোগে ফ্লোর নিয়ে কথা বলতে চাইলে আয়োজকরা তাকে বের করে দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, প্রযুক্তির যেমন সুফল আছে, আছে তার নেতিবাচক দিকও – তা নির্ভর করে ব্যবহারের উপর। তিনি বলেন, বিশেষ করে বৃটেন এবং মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন ফেইক আইডির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সরকার সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয় এসব আমাদের নজরে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তারানা হালিম, ডঃ মশিউর রহমান সহ দলীয় নেতা কর্মীরা ছাড়াও বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির উপস্থিত ছিলেন

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!