ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জঙ্গী হামলা ইত্যাদির ডামাডোলে সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে যাচ্ছে অনেক চাঞ্চল্যকর আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা; অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
একটা বড় ধরনের অঘটন ঘটার পর সরকার দেখায়, ঝাঁপিয়ে পড়ে তদন্ত করছে। সময়ের পালাবদলে এক সময় তা গতি হারায় বা হারানোর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ঘটে যায় আরেক ঘটনা।
কিন্তু রহস্য আর উন্মোচিত হয় না; আড়ালে চলে যায় । গত কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া কযেকটি ঘটনার তদন্তের গতি-প্রকৃতির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে মিলেছে এমনই তথ্য। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হৈচৈ বা আলোচনা চলার সময় কিছুদিন ঘটনাগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
এক পর্যায়ে দেখা দেয় সেই চিরাচরিত ঢিলেমি। আর বেশিরভাগ ঘটনার কূল-কিনারা করতে না পারায় তদন্ত সংশি-ষ্টদের অদক্ষতাও প্রকট হয়ে ওঠে। আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আওয়ামী লীগ সরকারের।
ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক কেলেঙ্কারির পর খোদ রিজার্ভে ঘটে গেছে ডিজিটাল লুণ্ঠন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শেয়ারবাজার কলঙ্কিত হয়। ২০১০ সালে আবার ব্যাপকভাবে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটে।
এরপর রাষ্ট্রায়ত্ত কি বেসরকারি ব্যাংক, সবগুলোতে পর্যায়ক্রমে চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ করা যায়। ঋণ নীতিমালা ভঙ্গ করে, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ও পরিচালকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যাংক লোপাট শুরু হয়। পুঁজিবাজার ও এর বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করার পর লুটেরাদের দৃষ্টি পড়ে ব্যাংকিং খাতের ওপর। এরপর হয় ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি। সর্বশেষ রিজার্ভ লোপাট।
রিজার্ভ চুরি: ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কমপক্ষে ৮০০ কোটি টাকা চুরির মাধ্যমে পাচারের ঘটনায় চলে তোলপাড় । বিদেশি হ্যাকাররা অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে ৮০০ কোটি টাকার সমমূল্যের প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে।
প্রশ্ন উঠেছে, রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরি হলে বাকি রিজার্ভ সুরক্ষা রাখার নিশ্চয়তা কী? সাইবার ক্রাইম থেকে প্রতিরোধেরই বা উপায় কী? সংশি¬ষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্যাকড হওয়ায় বিশ্বব্যাপী আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে ও দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের ৯৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৩০টি নির্দেশের ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া শুরুতেই প্রতিহত করা গেছে। অবশিষ্ট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দুই কোটি ডলারের হদিস জানা গেলেও বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৬৩৫ কোটি টাকা) এর কোনো খোঁজ নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানত। সংগত কারণে এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারও না কারও সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি একরকম নিশ্চিত। তবে কবে এই অর্থ পাওয়া যাবে বা আদৌ পাওয়া যাবে না- তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।
বিভিন্ন ব্যাংকের আমানত ডাকাতি : ২০১০-১১ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক কর্মকান্ডের ওপর সিএজি নিরীক্ষা পরিচালনা করে। তাদের রিপোর্টে শীর্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী ব্যাংকে বড় ধরনের ২২টি অনিয়মের ঘটনা শনাক্ত করেছে।
এসব অনিয়মের সঙ্গে ৬৬৩ কোটি টাকা জড়িত। রাষ্ট্রায়ত্ত আরেক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংকে ২৪টি ঘটনার মাধ্যমে ৭১৩ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে। এ বছর ওই দুটি ব্যাংক হিসাবের ওপর পৃথক দুটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করেছে সিএসজি।
এছাড়া জনতা, রূপালী, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি ব্যাংকসহ সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। সবগুলো ব্যাংকে আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি টাকা।
ঋণ বিতরণের বিধিমালা ভঙ্গ করায় বেসিক ব্যাংকের ১৬৭ কোটি টাকা আটক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে ইউসিবিএলের বসুন্ধরা শাখা থেকে ৭১ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১ কোটি টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে ৬ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। আর সম্পদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয় হলমার্ক গ্রুপ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে ৪৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ধরা পড়েছে। অডিট বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কতিপয় ব্যবসায়ী বিভিন্ন কৌশলে ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সিএজির প্রতিবেদন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণ হিসেবে দুর্বল অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাব্যবস্থা, দুর্বল মনিটরিং ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির শাস্তি না হওয়া, আর্থিক বিধিবিধানগুলো অনুসরণের অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। রিপোর্টে সরকার ও কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপন, নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট ও পলিসি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে ঊর্ধ্বতন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া, জবাবদিহির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন ব্যাংক ব্যবস্থাপনার সক্রিয়তার অভাব, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাব্যবস্থার স্বাধীনতার ঘাটতি রয়েছে।
এছাড়া ঋণ বিতরণের আগে ব্যাংক স্বার্থে ঋণগ্রহীতা নির্বাচন, ঋণ খাতে সম্ভাব্যতা যাচাই, ঋণের সুদ ব্যবহারকরণ ও ডকুমেন্টেশন যথাযথ ও সতর্কতার সঙ্গে করা হয় না।
বাণিজ্যিক ব্যাংকে জালিয়াতি: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাবে থাকলেও বাস্তবে কার্যকর নেই প্রায় এক লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা।
ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ টাকা থেকে কোনো মুনাফা পাচ্ছে না। কিন্তু ব্যাংকগুলো এ টাকার সুদ পরিশোধ করছে আমানতকারীদের।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের অবলোপনকৃত ঋণের (রাইট-অফ) পরিমাণ প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এসব টাকা আদায়ের সম্ভাবনা খুবই কম।
অব্যাহত খেলাপির ধারায় ব্যাংকগুলো হিসাবের বাইরে রেখেছে এসব অর্থ। এর বাইরে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি এ টাকা থেকে একদিকে কোনো সুদ আসে না; এর বিপরীতে বিভিন্ন হারে প্রভিশন রাখতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।
এই টাকা সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত ঋণের ওপরে অতিরিক্ত সুদ বসাতে হচ্ছে। খেলাপি ঋণের এই বিপুল পরিমাণ টাকার উভয়মুখী অভিঘাতে বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাত।
অন্যদিকে সরকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সম্প্রতি ঋণ পুনর্গঠন সুবিধার নামে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা ঋণ খেলাপি। পুনর্গঠন সুবিধা পাওয়া ব্যবসায়ীরা ওসব ঋণের সর্বনিম্ন সুদ হার উপভোগ করতে পারবেন।
ঋণের ধরনভেদে এ সুবিধা অব্যাহত থাকবে ৬ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত। এ ঋণ মূলধারাতে আনার চেষ্টায় সরকার পুনর্গঠন সুবিধা দিলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ আমানত সংগ্রহ করতে সমান হারে সুদ গুণতে হয়েছে। এ ঋণের লোকসান উঠানোর জন্য উচ্চহারে সুদ বসাতে হচ্ছে নিয়মিত ঋণ গ্রহিতার ওপর। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট ঋণের ৬৭ হাজার কোটি টাকা আদায়ের সম্ভাবনা নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এরপরই আছে জনতা ব্যাংক প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬ হাজার কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
অন্যান্য ব্যাংক মিলিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের বর্তমানে প্রায় ২৫ ভাগই খেলাপি- যা মোট ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অবলোপন করা হয়েছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি: অন্যতম আলোচিত ঘটনা হলমার্ক কেলেঙ্কারি। কতিপয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও পরিচালকের যোগসাজশে হলমার্ক সোনালী ব্যাংক রূপসীবাংলা হোটেল শাখা থেকে প্রায় ৪ হাজারকোটি টাকা বেআইনি ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করে। সেখানেও ক্ষমতাসীন দলের কিছু লোকজন জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
অর্থমন্ত্রী তখন অত্যন্ত অযাচিতভাবেই বলেন, ৪ হাজার কোটি টাকা তেমন কিছুই নয়।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির পেছনে দু’টি কারণকে চিহ্নিত করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অদক্ষতার ফলেই এত বড় কেলেঙ্কারি হতে পেরেছে। এ ঘটনার দায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদও এড়াতে পারে না। তারা বলেছেন, এই কেলেঙ্কারি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর মাধ্যমে শুধু যে হলমার্কই সুবিধা নিয়েছে, তা নয়। তার পেছনে আছে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সুবিধাভোগী চক্র।
বিমানের দুর্নীতি: বিগত চার বছরে নানা দুর্নীতি, লুটপাট দলীয়করণ অব্যবস্থাপনার কারণে ১৩শ’ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে বিমান। বিমানের একশ্রেণীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিদেশী এয়ারলাইন্সের ব্যবসার পথ সুগম করে দেয়ার নাম করে বিমানের লাভজনক আর্ন্তজাতিক রুটগুলোকে বন্ধ করে সেখানে বিমান পরিবহন সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে অনেক আগেই।
তার কোনো সুরাহা করা হয়নি। তাছাড়া ফ্লাইট সংকট শিডিউল বিপর্যয়, রুট সংকোচন, অদক্ষ জনবল, যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও তাদের মূল্যবান সামগ্রী চুরি অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে এক সময়কার লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিমান বর্তমানে শতশত কোটি টাকার লোকসান গুনছে।
রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল দুর্নীতি: বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই শুরু হয়ে তা পরবর্তিকালেও অব্যাহত থাকে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে সরকারি খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। বেসরকারি খাতের ভাড়াভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দেয়া হয় সম্পূর্ণ বিনা টেন্ডারে।
প্রায় সবক’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্ব পান ক্ষমতাসীনদের আশির্বাদপুষ্টরা কিংবা সরসরি সমর্থক ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ সেক্টরের দুর্নীতির বিচার যাতে না হয়, সে জন্য সরকারের তরফ থেকে ইনডেমনিটিও দেয়া হয়েছে।
এমএলএম প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতি: ডেসটিনি, যুবক এবং ইউনিপে-টু-ইউসহ বিভিন্ন মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে ডেসটিনির গ্রাহকদের গচ্ছা গেছে ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর ইউনিপে-টু-ইউ এবং যুবকের গ্রাহকরা হারিয়েছেন যথাক্রমে ২ হাজার ৫শ কোটি এবং ২ হাজার ৬শ কোটি টাকা।
ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি: চারটি ব্যাংকের স্থানীয় কার্ড অর্থাৎ এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের প্রায় ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মধ্যে সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে এটিএম কার্ড জালিয়াতি করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এর আগে আসেনি।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনটি বুথ থেকে কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৪ লাখ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নিয়ে যায় জালিয়াতি চক্র। এভাবে আরো অনেককিছুই চাপা পড়েছে অথবা চাপা দেয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।