DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র হলে তা প্রতিহত করবোঃ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

bagha copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র বা তার কোনও অপমান সহ্য করব না।বরং তা প্রতিহতের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অথবা তাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে আমি কখনও জড়িত হব না। যদি সে সমস্ত ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে জীবন দিয়ে রোধ করব এবং তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করব। 

তিনি আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের প্রধানের আমন্ত্রণে দেখা করতে যাওয়ার  পথে অনেক বাধার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার ডাকে তার গুলশানের বাসায় আসতে বহু বাধা ও আপত্তি এসেছে।

বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে দাঁড়িয়ে বৈঠকের বিষয়ে জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য জানান।

তবে এই বাধা বা আপত্তি কিসের বা কোন পক্ষের, সে বিষয়ে পরিষ্কার করেননি কাদের সিদ্দিকী। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বহুদিন পর বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর আহ্বানে জাতীয় সংকটের সময় আজকে এসেছিলাম। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের প্রধানের আমন্ত্রণে আমি এসেছিলাম।

বৈঠকের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী জানান, দুই ঘণ্টা আমাদের বৈঠক হয়েছে। সবাইকে নিয়ে এবং কিছু সময় একেবারে এককভাবে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার বিষয় ও ভবিষ্যতে আমরা কী করব। এ বিষয়ে আগামীকাল শুক্রবার তার মতিঝিলের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে এগারোটায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলবেন বলে জানান তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘসময় আলোচনা হয়েছে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে। আমি খুশি হয়েছি। মতের অমিল থাকলেও খুশি হয়েছি। জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে তার সঙ্গে তফাৎটা বেশি নেই। আমি জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতি করব না। বঙ্গবন্ধুর মতের হয়ে আমি মরতে চাই।

কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ যে আতঙ্কে রয়েছে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে, এই অবস্থা কিভাবে নিরসন করা যায়, সেক্ষেত্রে গোটা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আলোচনা করার জন্য এবং সবাই কিভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারি সে বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে আলোচনা করার জন্য তিনি কাদের সিদ্দিকীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা কাদের সিদ্দীকির কাছে খালেদা জিয়ার আমন্ত্রণ পৌঁছে দিয়েছিলাম। আমি দলের পক্ষ থেকে তাকে ও তার দলের সদস্যদের এবং বিশেষ করে আমাদের ভাবীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন।

বৈঠক শেষে জনতা লীগের একনেতা জানান, আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে। দশ মিনিট খালেদা জিয়া ও কাদের সিদ্দিকী ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়েছে।এই নেতা জানান, পুরো আলোচনায় ভিন্নমতও সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!