ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকার বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ‘পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়া’ হয়েছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের হিড়িক চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সরকার তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। হুম্মামকে আদালত চত্বর থেকে উঠিয়ে নেওয়া তারই বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, আদালত চত্বর থেকে কাউকে গ্রেফতার করা কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে উঠিয়ে নেয়া বিধিবিধান বহির্ভূত কাজ। এটি আইনের শাসনের চরম অবনতির বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপির মহাসচিবের অভিযোগ, সংবিধান স্বীকৃত মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো ধারাবাহিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে সরকার। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে এখন চরম উদ্বিগ্ন। একটা স্বাধীন দেশে নিশ্চিন্তে মানুষের চলাফেরা কিংবা বেঁচে থাকার সামান্যতম নিশ্চয়তাও যেন বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।
উল্লেখ্য, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিতে গিয়ে ‘আটকের’ শিকার হন হুম্মাম।
তার আইনজীবী চৌধুরী মো. গালিব রাগিব বলেন, ট্রাইব্যুনালে হাজির দিতে আসেন হুম্মাম ও তার মা ফারহাত কাদের চৌধুরী। তারা ঢাকার দায়রা জজ আদালতের সামনে পৌঁছলে ‘আরও মামলায়’ আটকের কথা বলে হুম্মামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় ডিবি পরিচয়ধারী পাঁচ থেকে ছয়জন ব্যক্তি।
আইনজীবী রাকিব বলেন, হুম্মামকে যারা আটক করেছেন তারা কোনও পরিচয়পত্র এবং গ্রেফতারি পরোয়না দেখাননি। আটককারীদের পরিচয় সম্পর্কে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোতয়ালি থানার পুলিশ ও ডিবির কর্মকর্তারা হুম্মামকে আটকের কথা অস্বীকার করেছেন।