ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জেলে বসেও দেশের কাঙ্খিত উন্নয়নে কখন কি করা যায়, তা ভেবেছি এবং সেই ভাবনার ভিত্তিতেই রূপকল্প ২০২১ প্রণীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন আমাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সেখানে বসেও আমি ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে কখন কি করা যেতে পারে, কিভাবে দেশকে একটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব তা নিয়ে ভাবতাম। ছোট ছোট কাগজে সেই ভাবনাগুলো লিখে রাখতাম। আর পরবর্তীতে সেগুলোর ভিত্তিতেই তৈরি হয় রূপকল্প ২০২১।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে তার বাস্তবায়ন করা খুব একটা কঠিন কাজ নয় উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করার নীতিমালা নিয়েই আমরা সরকার গঠন করি। আমাদের লক্ষ্য একটাই গণতান্ত্রিক সুশাসনের মাধ্যমে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনো সরকারের উদ্যোগগুলো ছিলো দেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে। এরও আগেও যখন দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিলো তখনো রাজনৈতিক দল হিসেবে লক্ষ্য ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং দেশের মানুষের উন্নয়ন।
সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গেলেই যেনো বিপদ বেশি, এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেজন্যই প্রাণ দিতে হয়েছে। এমন হত্যা ক্যু’র রাজনীতি আমরা দেশে আরো দেখেছি।
তিনি বলেন, পাঁচ বছর ক্ষমতার মেয়াদ, এই সময়ের মধ্যে কতটুকু কাজ করতে পারবো সেটা সুনির্দিষ্ট করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়ানো।