ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কার্যকারিতার দিক দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা একেবারেই কম বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনী কাঠামোয় দুদক একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হলেও রাজনৈতিক হয়রানির জন্য দুদককে হাতিয়ার হিসেবে প্রায়ই ব্যবহার করা হয় বলে মানুষের ধারণা।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ: বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুদকের কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় সার্বিক বিবেচনায় দুদক মধ্যম মাত্রার স্কোর পেয়েছে। ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির স্কোর ৬১ দশমিক ২২ শতাংশ। গবেষণায় ৫০টি সূচকের মধ্যে ২১টিতে উচ্চ, ১৯টিতে মধ্যম ও ৯টিতে নিম্ন স্কোর পেয়েছে দুদক।
কাজের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে গবেষণার তথ্যে বলা হয়, দুদককে পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ মনে করে না মানুষ।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এডভোকেট সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন।