DMCA.com Protection Status
title="৭

বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আসছেন জোবায়দা এবং শর্মিলা ????

zs1

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির মধ্যে নাম ঘোষণা করা হয়েছে ১৭ জনের। কমিটিতে ১৭ ও ১৮ নম্বর ঘর দুটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির  ভিতরে-বাইরে  নানা গুঞ্জন চলছে। কে আসছেন এ দুই পদে, তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তবে কমিটি ঘোষণার পর সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কথা বলছেন খালেদা জিয়া। যে কোনো সময় কমিটিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

দলের কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া এ দুই পদ তার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান ও শর্মিলা রহমানের জন্য রেখেছেন। বিভিন্ন মামলায় বেগম জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সাজা’ কার্যকর হলে তারা স্থায়ী কমিটিতে থেকে দলের নেতৃত্ব দেবেন। আবার আরেক পক্ষ বলছেন, দুই পদের বিপরীতে প্রার্থী অন্তত সাতজন। ওই দুই পদ কাকে রেখে কাকে দেবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি-প্রধান। তাই ওই দুটি পদ শূন্য রেখেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। অবশ্য সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক ও যুববিষয়ক পদও ঘোষণা করা হয়নি।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য একটি পদ অন্তত পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। বেগম জিয়ার মামলার সাজা কার্যকর হলে সেখানে জোবায়দা রহমানকে যুক্ত করা হবে। কারণ, চলমান বৈরী পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে আসার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া ইতিমধ্যেই অর্থ পাচারের এক মামলায় তার সাত বছরের সাজা হয়েছে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান কেউই চান না এ মুহূর্তে জোবায়দা রহমান কিংবা শর্মিলা রহমান রাজনীতিতে আসুন। পরিস্থিতিই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

 জানা যায়, স্থায়ী কমিটির পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, শাহ মোয়াজ্জেম, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও আবদুল আউয়াল মিন্টু। এরই মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান নতুন পদে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবাই চান স্থায়ী কমিটিতে যেতে। পদ মাত্র দুটি। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন বেগম জিয়া। সবাইকে বুঝিয়ে শান্ত করেই দুজনের নাম ঘোষণা করতে পারেন বেগম জিয়া। সে ক্ষেত্রে আবদুল্লাহ আল নোমান ও খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্থায়ী কমিটিতে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাদেক হোসেন খোকা বা শাহ মোয়াজ্জেমের মধ্য থেকে একজন স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন। এদিকে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, ‘আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।

তাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে থাকার আমার কোনো ইচ্ছা নেই।’ অন্যরা সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও ভিতরে ভিতরে তারাও ক্ষুব্ধ। বিএনপির মধ্য সারির এক নেতা জানান, সরকারের কঠোরতায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও তারেক রহমান জেলে গেলে জিয়া পরিবারের কাউকে না কাউকে দলের হাল ধরতে হবে। সেজন্য বেগম জিয়ার দুই পুত্রবধূকে আগেই দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা জরুরি। এ বিষয়টি হয়তো বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মাথায় রাখছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!