ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশতাকের শপথগ্রহন পরিচানাকারী আমলা এবং হালে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, বাংলাদেশে এমন মানুষ কেন থাকবে যে দেশের শত্রু।বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এই বিতর্কিত সাবেক সচিব বলেন যা,রা দেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ করে তারা যাতে শাস্তি পায় আপনারা সেজন্য চেষ্টা করবেন।
সোমবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও কাঙ্গালী ভোজের উদ্বোধন করে একথা বলেন তিনি। বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচটি ইমাম বলেন, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ও আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতে ৪৮ জন মানুষকে ১৫ই আগস্টে হত্যা করা হয়েছিল। সেই জাতীয় শোক দিবসে আমাদের উচিত বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও তাদের জন্য দোয়া করবেন। সেদিন যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল এমনকি যারা শিশু সন্তানদেরও রক্ষা করেনি তারা যেন দোজখ ভোগ করে।
বার কাউন্সিলের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে শোক দিবসের এই কর্মসূচি। এজন্য বার কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে এইচটি ইমাম বলেন, প্রথমবারের মতো শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় বার কাউন্সিল সত্যি প্রশংসার দাবিদার। শোকটাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে তারা আইন অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। আমি শুনেছি ৫০ হাজার আইনজীবীকে তারা দেশ বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন।
হত্যা ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতির নিন্দা জানিয়ে এইচটি ইমাম বলেন, যারা বাংলাদেশকে কুড়ে খেতে চায় তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এরপর ২১ বছর ধরে তারা খুনিদের পুনর্বাসন করেছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তারা হত্যার রাজনীতি করেছে। এরপর ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। এসব স্বাধীনতা বিরোধীদের আদ্যপান্ত দমন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৫ বারের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা যৌথসভা করেছি। যেখানে জঙ্গিদের আইনী সহায়তা না দিতে আইনজীবীরা একমত হয়েছেন।