ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ৭০এর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, ‘পনেরোই আগষ্ট ভোরে বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগে তিন ঘন্টা সময় পেয়েছিলেন। সবার কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন।তার বিশ্বস্ত সেনাপ্রধান জেনারেল কেএম শফিউল্লাহর কাছেও চেয়েছিলেন। কিন্তু শফিউল্লাহ এগিয়ে আসেননি। সে একটা বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক, কাপুরুষ।’
প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহবায়ক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন। ওই সময়ে মুজিব ভাইকে আমি বলেছিলাম রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়ে জাতির জনক হিসেবে জাতীয় ৪ নেতার মধ্য থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থান নেয়ার এবং মহাত্মা গান্ধীর অনুসরণে দলীয় আবর্ত থেকে ঊর্ধ্বে ওঠার।’
তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে জাতির পিতা থাকতেন সব সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে। অথচ দেশ চলত কিন্তু তাঁরই নির্দেশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। কম্যুনিস্টরা তাঁর অজান্তেই তাঁকে পরিবেষ্টিত করে ফেলল। যার ফলশ্রুতিতেই তার নিহত হবার পরিবেশ তৈরী হয়েছিল।’
‘বঙ্গবন্ধু একদলীয় শাসন চালু করেছিলেন, কিন্তু সেটা রাশিয়ার প্ররোচনায়। রাশিয়া যাওয়ার পর তার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল। আমি বাকশালের বিরোধিতা করেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন তিনটি বছর সময় দিতে। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যদি তা পেতেন তবে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতেন।’
স্বাধীন বাংলা ছাত্র পরিষদের আহবায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি হাসিনাসরকারের কার্যক্রম সমর্থন করি না। সেইদিনই করব যেদিন শেয়ারবাজার কেলেংকারি, লুটেরাদের ফাঁসি দেয়া হবে, যেদিন গণবাহিনীর নায়কদের সরকার থেকে বিদায় জানানো হবে।’