DMCA.com Protection Status
title="৭

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমানঃ ফরহাদ মাজহার

farhad-mazhar-3 copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ৭১ সালে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এমন মন্তব্য করে বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সমালোচক ফরহাদ মজহার বলেছেন, আমরা যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম,আওয়ামী লীগ নেতাদের অযোগ্যতায়  সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। হিস্ট্রি এটাই। আপনি যতই ইতিহাস লেখেন আর আদালতের রায় দেন কিন্তু তাতে কোনো কাজ হবে না। কারণ শেখ মুুজিবুর রহমান তখন গ্রেফতার হয়ে পাকিস্তানের কারাগারে। তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দেননি।


মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচা ঢাকা রির্পোটার্স ইউিনিটতে এক আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।

‘আমার দেশ পড়তে চাই, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চাই’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিসিয়ার্স বাংলাদেশ।


বাংলাদেশকে বিভক্ত করেছে আওয়ামী লীগ, এ অভিযোগ করে ফরহাদ মজহার বলেন, যে তিনটি বড় আর্দশের ওপর ভিত্তি আমরা সেদিন ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম। তাহলে বিরোধটা তৈরি করলো কারা? বাংলাদেশেকে বিভক্ত করলো কারা?


তিনি বলেন, আমরা তিনটি আর্দশের ওপর যুদ্ধ করছি। একটা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার। এই তিন আর্দশের ভিত্তিতে ওসমানি, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিলেন এবং বাঙ্গালীদের সঙ্গে পাকিস্তানের  যুদ্ধ  হয়েছিলো। কোনো আওয়ামী লীগের দলীয় ডাকে যুদ্ধ হয়নি। যতক্ষণ আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে না পারবেন, ততক্ষণ বাংলাদেশটাকে আপনারা দিল্লীর হাতে তুলে দেবেন এবং দিচ্ছেন।


তাহলে কি জন্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছিলাম এমন প্রশ্ন করে ফরহাদ মজহার বলেন, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের জন্যে? না সেটা নয়। ধর্ম নিরপেক্ষাতা ও সমাজতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম ? না সেটাও না। ইতিহাস খুঁজতে চান বাড়িতে গিয়ে আমাদের সংবিধানটা একটু খুলবেন সেখানে পপুলেশন অব ইন্ডিপেনডেন্ট নামে সেখানে একটা ঘোষণা আছে। সেটা এপ্রিল মাসে ঘোষণা হয়েছিলো।


তিনি বলেন, জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে এখন যারা লড়াই করছেন তাদের মত প্রকাশের অধিকার আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত আছে। বিরোধী দলে থেকে সমাবেশের অধিকার, কথা বলার অধিকার, সমালোচনা করার অধিকার এগুলো এখন খর্ব করা হয়েছে। তাদের ওপর হামলা মামলা নির্যাতন চলছে।


বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো তখন আপনারা সমালোচনা করেননি এ মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, বিএনপির কাছে সুযোগ নিয়েছেন, ননী মাখন খেয়েছেন। এখন এসে বলছেন বিএনপিকে দিয়ে কিছু হবে না। আমি এটা শুনতে চাই না। আমি পুরনো দালালদের চিনি। দয়া করে বলবেন না। আর আপনি যদি পারেন সেটা কেন বলছেন না।


তিনি বলেন, আমি বিএনপিকে সমালোচনা করেছি, খালেদা জিয়াকে বলেছি, যেদিন ইরাক আক্রমণ হয়েছে সেদিন আমি আমার বইতে লিখেছি এই ধরণের ঘটনা আপনার ক্ষেত্রেও হতে পারে। কারণ  যখন কলিন পাওয়েল এসেছিলো তখন তার সাথে টেকনোলজিক্যাাল চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো আপনার মন্ত্রী, এটা অত্যন্ত খারাপ একটা চুক্তি এর ফলে আপনি আপনার দুই সন্তানকে হারাতে পারেন। এটা আমার বইয়ের মধ্যে লেখা রয়েছে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে  ফরহাদ মজহার বলেন, বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে জোট করলো। এ নিয়ে আপনি সারাদিন কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু প্রশ্নটা হলো জামায়াতকে সমালোচনা করেন, ইসলামপন্থিদের সমালোচনা করেন। বিএনপিকে আপনি কঠোর ভাষায় সামলোচনা করেন। কিন্তু আপনি কী চান? আপনি কী কথা বলার অধিকারে বিশ্বাস করেন ?


তিনি বলেন, রাতের বেলায় ঘর থেকে মানুষকে ধরে নিয়ে যাবে আপনার র‌্যাব সাদা পোশাকে। তারপর দিন তার লাশ পাবে। এটা কি আপনি চান? আপনি কি চান দেশে একটি ঘাতক বাহিনী থাকুক ? যদি আপনি না চান তাহলে দয়া করে আপনি ক্যামেরার পেছনে থাকেন আর সামনে থাকেন আপনি কথা বলেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি কথা বলবেন না তাহলে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে আপনার দায় ষোল আনা। এর সাথে বিএনপির কোনো সর্ম্পক নেই। 


লুটপাট করা যায়, ব্যাংক লুট করা যায়, মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া কিন্তু আপনি চুপ রয়েছেন মানে আপনি এসবের সায় দিয়েছেন। যেদিন র‌্যাব আপনার দুয়ারে আসবে এবং আপনার সন্তানকে নিয়ে যাবে সেদিন আপনি বুঝবেন রাজনৈতিক পরিসর কথাটা কি। যোগ করেন এই সমালোচক।

তিনি বলেন,কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না এটা অসম্ভব বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাই বলবো দয়া করে জেগে উঠুন। এটার মধ্যে বিএনপির কোনো ইস্যু নেই। এখানে বিএনপিকে করুনা করার কিছু নেই। এটার মধ্যে বিএনপিকে সর্মথন করার কিছু নেই।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!