DMCA.com Protection Status
title="৭

শহীদ জিয়াকে অস্বীকার করলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকেই অস্বীকার করা হয়ঃ মির্জা ফখরুল

mfiagum copy 

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ,বীরউত্তমকে অস্বীকার করলে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকেই অস্বীকার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক গুম দিবস ' উপলক্ষে গুমের শিকারদের স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার পদক বাতিল করা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সাথে শহীদ জিয়ার নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং স্বাধীনতার সাথে জিয়াউর রহমানকে অবিচ্ছেদ করা যাবে না। তাই জিয়াউর রহমানের পদক সরকার যেখানেই রাখুক না কেনো তিনি এদেশের মানুষের বুকের মধ্যে রয়েছেন এবং থাকবেন চিরদিন।

বাংলাদেশ এখন জঙ্গল হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, চারিদিকে শুধু পশু। জঙ্গিবাদ ও সরকারের ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন ও আক্রমণের এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।

এর আগে ‘অনন্ত অপেক্ষা… এই শ্লোগানে অনুষ্ঠানটিতে ২০০৯-২০১৬’ পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রির্পোর্টগুলো ডকুমেন্টারি আকারে প্রকাশ করা হয়।

গুম ও খুন করে সরকার সরকার ঘৃণ্য অপরাধ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার এই অপরাধ রেহাই পাবে না। একিদিন না একদিন তাদের বিচারের সম্মুখিন হতেই হবে।

মিডিয়া অসহায় হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণমাধ্যম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনুমতি দিতেও পারি আবার ছিনিয়েও নিতে পারে। সুতরাং কোন মিডিয়ার কয়টা মাথা আছে যে তারা সরকারের নির্দেশের বাইয়ে গেয়ে কাজ করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নতুন নতুন ইস্যু তৈরী করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আর এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জঙ্গি ইস্যু। এবং বলা হচ্ছে, জঙ্গিদের বিচার করতে কোন আইন থাকবে না, তাদেরকে আদালতেও নিয়ে যাওয়া হবে না। এ কেমন ভয়াবহ অবস্থা। প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এসময় তিনি নেতাকর্মীদের সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!