ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ বারের মতো দেখা করেছেন তার স্বজনরা। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের এই সাক্ষাতপর্বে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন তার পরিবার সদস্যসহ ৩৮ জন স্বজন। অবশ্য কারাগারের ভেতরে সাক্ষাতের উদ্দেশে ঢুকেছিলেন ৩টি শিশুসহ তার পরিবারের ৪৭ জন সদস্য।শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
তিনি জানান,‘বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ৩৮ জন স্বজন মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। স্বজনদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ৮/১০ জন করে গ্রুপ করে তাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়।’
সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল।
কারাগার থেকে বের হয়ে মীর কাসেমের স্ত্রী সৈয়দা আয়েশা খানম জানান, ‘ উনি (মীর কাসেম আলী) বলেছেন, শেষ মুহুর্তে ছেলেকে দেখতে পারলাম না এই আক্ষেপ রয়ে গেল। ছেলে আমার পরিবারে ফিরে আসবে এ প্রত্যাশাই করি।’
আয়েশা খানম আরও জানান, উনি (মীর কাসেম আলী) বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই জান্নাতে যাবো। আমি আগে গিয়ে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করবো। তোমরা কান্নাকাটি কোরো না। যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি করেছে তারা কখনোই জয়ী হবে না। একদিন এই দেশে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা হবেই এবং ইসলামই জয়ী হবে।’
প্রসঙ্গত: জাায়াত নেতা কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদসহ আটজনকে হত্যার দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। আপিল বিভাগের রায়েও তার এ শাস্তি বহাল থাকে।যদিও তিনি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বিকার করে গেছেন।
এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ দেওয়া হলেও গত ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে জানান। এরপরই তার ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু করে কারা কর্তৃপক্ষ।