ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের উদাহরণ দিয়ে পুলিশের আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গিদের জীবিত গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। আপনারা এমন একটি উদাহরন দেখান যে জঙ্গিদের জীবিত গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জীবিত গ্রেফতার করতে হলে নিজেদের প্রাণ দিতে হবে। তাই যারা পুলিশের এই কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাদের শুভবুদ্ধি উদয় হোক।বাংলাদেশ পুলিশের এই সাফল্য পৃথিবী রোল মডেল হিসেবে নিতে পারে।
হত্যাকান্ডে জড়িত নয়, এমন জঙ্গিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন একেএম শহীদুল হক।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগেও আমি যেখানে যেতাম বলতাম, আমাদের দেশে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদক দেশকে শেষ করে দিচ্ছে। আর এখন জঙ্গিবাদকে এক নম্বর সমস্যা মনে করছি।
দুই নম্বরে মাদক। এই দুটি যদি আমরা দমন, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল করতে পারি তাহলে সমাজে কোনো অস্থিরতা থাকবে না ও মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে না।
তিনি বলেন, দূস্কৃতিকারিরা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষকে জঙ্গি বানাচ্ছে। তা নির্মূল করতে পারলে সমাজের মানুষ শান্তিতে ও নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারবে। তাই জঙ্গিবাদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। পাড়া মহল্লায় দূর্গ গড়ে তুলতে হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খোরশেদ আলম, বিজিবি’র ১নং ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহজাহান সিরাজ ও র্যাব- এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুবুর আলম।
পরে পুলিশ প্রধান রাজশাহীতে জঙ্গিবাদ বিরোধী র্যালিতে অংশ নেন এবং বিশিষ্টজনদের ক্রেস্ট বিতরন করেন।