ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের’ কাল্পনিক ও বানোয়াট মামলায় আপিল বিভাগ থেকে জামিন পাওয়ার পাঁচদিন পর কারামুক্ত হলেন বরেন্য সাংবাদিক শফিক রেহমান।
অবশেষে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মুক্তি পান তিনি।
কারাগারের জেলার মো. নাসির আহমেদ বলেন, সোমবার রাতে তার জামিনের কাগজপত্র আসার পর যাচাইবাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর শফিক রেহমানকে তার প্রিয় গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্ত্রী তালেয়া রেহমান ও স্বজনরা। পরে তারা ঢাকার পথে রওনা হন।
জামিন খারিজ করে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল মঞ্জুর করে গত ৩১ অাগস্ট প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিন মাসের জন্য অথবা ওই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকতে পারবেন।
জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড হয়। সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিএনপি ঘনিষ্ঠ এই সম্পাদককে। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে,বাংলাদেশ পুলিশে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নাগরিকদের(পশ্চিম বাংলা) ঢোকানোর চাঞ্চল্যকর কাহিনী তথ্য শফিক রেহমানের হস্তগত হওয়ায় তাকে নিবৃত করতেই এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে আশিউর্ধ এই ব্রিটিশ ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক কে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলায় প্রথমে নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে শফিক রেহমান হাই কোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্টের বেঞ্চ তার খারিজ করে দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই আপিলের অনুমতি পান তিনি।