ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অনির্বাচিত এবং অবৈধ ভাবে ক্ষমতা আকড়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন এবং মন্ট্রিয়লের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নজীর বিহীন প্রতিরোধ বিক্ষোভের মুখোমুখ হলেন।এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গতকাল বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রবল প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে পেছনের দরজা দিয়ে জাতিসংঘ সদরদফতর ভবনে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রতিবারের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের প্রচন্ড তোপের মুখে পড়েন বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র অবস্খান করছেন হাসিনা। বুধবার নিউয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা সকাল থেকেই জাতিসংঘ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ও বিক্ষোভে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এক পর্যায়ে হাসিনার গাড়িবহর সমাবেশস্থলের কাছাকাছি এসে পড়লে মারমুখী হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধ জনতা। অবস্থা বেগতিক দেখে নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ একটি এস্কর্ট শেখ হাসিনাকে নিয়ে পশ্চাৎভাগের দরজা দিয়ে ঢুকতে বাধ্য হয় জাতিসংঘ ভবনে।
এদিকে সোমবার জরুরি এক সভায় মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল স্তরের নেতৃবন্দ। তারই ফলশ্রুতিতে বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত হয় ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, মাওলানা আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ভিপি জসিম, এম এ খালেক আকন্দ, আশরাফ হোসেন, শাহ ফরিদ, ইমরান চাকলাদার, রফিকুল হক, কামাল হোসেন, আলমগীর কবির, মাজহারুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, রুহুল আমিন নাসির, নীরা রাব্বানী, শিরিন বেগম, পারভেজ সাজ্জাদ, মতিউর রহমান লিটু, খন্দকার রেজোয়ান, আরিফ আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম তুহিন, আলমগীর মৃধা, আমিনুর রহমান, মাসুম বিল্লাহ, মো: মহসিন, রুবেল গাজী, জাফর ফরাজী, জাহিদ হায়দার বিশ্বাস, কামাল উদ্দিন দিপু, সিরাজুল ইসলাম ডালী, মাসুদ হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, হেলাল উদ্দিন, মাহমুদুর চৌধুরী, বাসেত রহমান, মার্শাল মুরাদ, আবু সাঈদ আহমদ, সাঈদুর রহমান, রেজাউল করিম রিজু, মো. নান্নু, গিয়াস মজুমদার, শাহ্ আলম, আবু সুফিয়ান, এবাদ চৌধুরী, আতিকুল হক আহাদ, এমলাক হুসেন ফয়সল, মিজানুর রহমান মিজান, সাইফুর খান হারুন, রেজাউল আহাদ ভুঁইয়া, নাসিম খান, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, ডঃ তারেক, উত্তম বণিক, রাজীব আহমেদ, জীবন শফিক, নাসিম আহমদ, ছাইদুর খান ডিউক, এবিএম সিদ্দিক, আরশাদ খান, মো. হোসেন, ফজলে রাব্বী রাজীব, মো. কাউসার, তৌফিক মিয়া প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা কামাল সাঈদ মোহন, বিএনপির কেন্দ্রিয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক এম এ বাতিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তোফায়েল লিটন চৌধুরীসহ অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশী।
উপস্থিত সবাই অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানান। এছাড়া সরকার পতনের বৃহত্তর আন্দোলনের সাথেও বিক্ষোভস্থল থেকে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।উল্লেখ্য, বিএনপি ও প্রবাসীদের বিক্ষোভ চলাকালে বুধবার জাতিসংঘের আশেপাশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।