ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সিলেট এমসি কলেজে এক ছাত্রলীগ নেতার হামলায় এক কলেজ ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত খাদিজা বেগম নার্গিস সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার্থী (২২)। সে সিলেটের জালালাবাদ থানার আউশা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে সে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুস সালাম জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে খাদিজাকে সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
তিনি বলেন,“তার মাথা, হাতে ও পায়ে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথার ক্ষত গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।”
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাকে সোমবার বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
ঘটনার পরপরই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র বদরুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
শাহপরাণ থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার বিকালে এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার পরপরই খাদিজার ওপর হামলা চালান বদরুল।
“জানা গেছে, বদরুলের সঙ্গে খাদিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইদানিং তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বদরুল এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
ফেইসবুকে ছাড়িয়ে পড়েছে হামলার ভিডিও
ঘটনার পরপরই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে আটক করে পুলিশ
এদিকে এমসি কলেজ পুকুর পাড়ে রাস্তার ওপর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুকে। আটক বদরুলের কয়েকজন সহযোগীও আশপাশে ছিল বলে ফেইসবুকে আসা ছবির মন্তব্যে লিখেছেন একজন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মামলার পর পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানান ওসি।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ জানান, বদরুল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুনাইঘাতি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
মামলা হলে বদরুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইমরান।
জানা যায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা বদরুল ইসলাম নার্গিসের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে। সে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আশপাশের লোকজন ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।