ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নাসিরনগর সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থেকে শুরু করে দেশে যতো সংখ্যা লঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে , বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বনাম নাসিরনগর তান্ডব ও আমাদের করনীয়” শীর্ষ আলোচনা সভার আয়োজন করে “কমিটি টু প্রটেক্ট ফান্ডামেন্টাল রাইটস” নামের একটি সংগঠন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, হিন্দু মুসলিম বলতে কোন ভেদাভেদ নেই। নাসিরনগরে হামলা হয়েছে হিন্দু বনাম আওয়ামী লীগ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কোন ঘটনা ঘটলেই বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে যতো ঘটনা হয় সকল ঘটনায় বিরোধী দল বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করা হয়। কিন্তু আমারা সকল ঘটনার সাথে দেখি আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত। তবে তাদের কোনো বিচার করা হয় না।
গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, উপসানালয় এবং বাড়ি ঘর ভাংচুর করছে তাদের সম্পদ দখল করার জন্য। আর এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে।
তিনি বলেন, আমরা কার কাছে বিচার চাইবো ,যিনি ঘটনা ঘটান তার কাছে? কখনো এসব কিছুর বিচার হয় নি এবং হবেও না ।এসকল বিচার আমাদেরকেই করতে হবে।তিনি আরো বলেন, আজকে যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাদের বিচার একদিন আমরা করবোই। আর যারা এই গুলোর অন্তরালে রয়েছেন, তাদের বিচার ও করব।তাই ওদের কাছে বিচার চাওয়ার দরকার নাই।
গয়েশ্বর বলেন, আজকে মুজিব মুজিব বলে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশকে লুটপাট করে খাচ্ছে। এইগুলোরও কোন বিচার নাই।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলন, আমরা দুর্ঘটনার মৃত্যু চাই না। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আমরা সাধারণ ভাবে বাঁচতে চাই। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মরতে হলে মরবো, তবুও দেশে গণতন্ত্র ফিিয়ে আনবো। কারণ এছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোন পথ খোলা নেই।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার সভাপতিত্বে নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, সঞ্জীব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার বাহাবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ড: দেওয়ান সালাউদ্দিন আহমেদ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্তা প্রমুখ।