ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের গণতান্ত্রিক ভূমিকা অব্যবাহত রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা সরকার, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন । আজকে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। তাদের এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য সংক্রান্ত। তারপরও তারা বলছে শুধু বাণিজ্য/ট্রেড নিয়ে আলোচনায় ফলপ্রসু হয় না। যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সঙ্গে যারা ব্যবসা করবে তাদের সেখানে যাতে গণতন্ত্রের চর্চা হয়, মৌলিক অধিকার যেন রক্ষা করা হয়। বিশেষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন একেবারেই সুষ্ঠু এবং সকল দলের মাধ্যমে নির্বাচন হয়। একিভাবে বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। যাতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেখতে চান একটি নিরপেক্ষ যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হউক। তারা যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সর্ম্পকিত সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সিএমএম আদালত থেকে জন্মদিন সংক্রান্ত একটি আদেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা(বিএনপি) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কারণ খালেদা জিয়া বাংলাদেশে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কোথাও থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি বাংলাদেশে। তিনি গণতন্ত্রেও জন্য এদেশের মানুষের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। নয় বছর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছেন ,পরবর্তীতে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এধরণের অবিশ্বাস্য নির্দেশ দেয়া হবে তা ভাবতেই পারেনি বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রমাণ করেছে বিচার ব্যবস্থা সরকারের অধীন ও নিয়ন্ত্রণ করছে। তার ফলশ্রæতিতেই আজকে এমন একটা বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়েছে যা যে কোনো দেশের পক্ষে , সমাজের পক্ষে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা প্রশ্নবিদ্য থেকে যাবে। এতে করে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নিয়েও আতংকিত রয়েছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড.আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ট্রেডের চেয়ারম্যান বার্নেড লেগ, দক্ষিন এশিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জিন ল্যাম্বার্ট ও পার্লামেন্টের চার জন এমপি সহ দুইজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।