ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে আজ রোববার প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় সাত লাখ পিস ইয়াবা বড়ি আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।তবে খোলা বাজারে এই ইয়াবার মুল্য আরও কয়েকগুন বেশী হবে বলে সংশ্লিষ্টগন মনে করেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি বিজিবির আটক করা এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান।
জানা যায় এই অঞ্চল দিয়ে ইয়াবা সহ অনান্য মাদকের ব্যপক প্রবেশ এখন ওপেন সিক্রেট।দির্ঘদিন যাবৎ এই মাদক চোরাচালানে এলাকার আওয়ামী এমপি আবদুর রহমান বদীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেলেও বিষয়টিকে মোটেই গুরুত্ব দেননি শেখ হাসিনা সরকার।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইয়াবাই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাদকদ্রব্যে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে একটি নৌকা থেকে খুব ভোরে চালানটি আটক করে বিজিবি।
টেকনাফে বিজিবি ব্যাটালিয়ান-২ এর মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকি বলছেন, এই এলাকাটি ইয়াবা চালানের একটি বড় ট্রানজিট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, মুলত মিয়ানমার হয়েই বাংলাদেশে ইয়াবার চালান বেশি আসে। তিনি বলেছেন, ছোট চালানগুলোই বরং তাদের জন্য ধরা কঠিন হয়ে পড়ে।
অক্টোবর পর্যন্ত বিজিবি প্রায় ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা আটক করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব বাহিনী মিলে দুই কোটির বেশি পিস ইয়াবা বড়ি আটক করেছে।
কিন্তু তারপরও দেশের সর্বস্তরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের গোয়েন্দা ও অপারেশনস বিভাগের পরিচালক সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ইয়াবাই এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাদকদ্রব্য। খুব ছোট আকারের বড়ি হওয়াতে এর বহন সহজ – আর তাই এটি ধরাও কঠিন।
মাদকাশক্তি নিরাময় করেন এমন চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের কাছে ইয়াবা আসক্তরাই ইদানিং সবচাইতে বেশি সংখ্যায় আসছে।