ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং হাসিনার প্রতিহিংসার কারনে মিথ্যা অভিযোগে বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় ফাঁসের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, এই নির্দেশ যেদিন এলো সেদিন অর্থাৎ গতকাল সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুর ১বছর পুর্ন হলো।
একইসঙ্গে দুজনকে কেন সাজা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের খালাস দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় কেন বাতিল করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মরহুম সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের ম্যানেজার মাহবুবুল আহসানের আপিলের শুনানির সময় আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসব আদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
আদেশে হাইকোর্ট বলেন, আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যে দুজনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে বলা হয়েছে। আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার সাজ্জাদ আলী চৌধুরী শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান ও ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদ কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল। তবে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি চার আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চার আসামি হলেন- সালাউদ্দিন কাদেরের ম্যানেজার মাহবুব হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক হোসেন ও নয়ন আলী, আইনজীবী ফখরুলের সহকারী মেহেদি হাসান।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী ও স্বজনরা রায়ের খসড়া কপি ফাঁসের অভিযোগ করেন এবং তা সাংবাদকর্মীদের দেখান। এ ঘটনায় পরের দিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী এবং ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ আরো পাঁচজনকে আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি গত ২২ নভেম্বর প্রত্যুশে কার্যকর করা হয়।