ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতের বিমান বাহিনীতে মুসলিমদের দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে ধর্মীয় কারনে দাড়ি-গোঁফ রাখতে পারবে শিখ ধর্মাবলম্বীরা।
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন। খবর বিবিসি বাংলা’র।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ভারতের বিমানবাহিনীতে শুধু ধর্মীয় অনুশাসনের কারণেই দাড়ি রাখা যেতে পারে।
রায়ে বলা হয়, ইসলাম ধর্মের সঙ্গে দাড়ি রাখার কোনো সম্পর্ক আদালতের সামনে প্রমাণ করতে না পারায় আদালত বিমানবাহিনীর এক মুসলিম সদস্যকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
মুহাম্মদ জুবায়ের নামে বিমান বাহিনীর এক কর্পোরালকে দাড়ি রাখার কারণে বরখাস্ত করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। পরে এ সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি।
বিমান বাহিনী এক নির্দেশিকায় বলেছিল, ২০০২ সালের ১ জানুয়ারির আগে যেসব মুসলিম বিমানবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন দাড়ি-গোঁফ নিয়েই, কেবল তারাই দাড়ি রাখতে পারেন। এর পরে বাহিনীতে যোগ দেয়া কোনো মুসলিমকে দাড়ি রাখতে দেয়া হবে না।
শিখ ধর্মের অনুশাসনে দাড়ি-গোঁফ আর লম্বা চুল রাখা ‘বাধ্যতামূলক’ এমন যুক্তি দেখিয়ে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ করেনি বিমান বাহিনী।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর নিয়মাবলীর ৪২৫ নম্বর ধারাতে বাহিনীর সদস্যদের চুল, দাড়ি, গোঁফ কীভাবে ছাঁটতে হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে ছাড় দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আবেদনকারী জুবায়ের ২০০১ সালের ডিসেম্বরে বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। আর ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী এই যুক্তিতে দাড়ি রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন।