দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ 'শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না কিনা সন্দেহ ',গতকাল কানাডা বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
গতকাল কানাডার মন্ট্রিয়লের একটি স্বনামধন্য রিসেপসন হলে কানাডা বিএনপি আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৫ তম মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়।
বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসভার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব জনাব নূরনবী রশিদ।
কানাডা বিএনপি নেতা জনাব আবুল বাসার মানিকের সাবলিল পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক মহা মিলনমেলায় পরিনত হয়।প্রচন্ড শীত ও বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেও প্রবাসীদের এই দেশপ্রেম অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।
শুরুতেই পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন কানাডা বিএনপি নেতা মোঃ আবুল হাসান ।
এর পর বাংলাদেশ এবং কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত করেন ইলমা খন্দকার এবং সাথে ভায়োলিন পরিবেশন করেন নুরুল আজিম নিলয়।
অনুষ্ঠানে বক্তাগন বলেন ,স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও আমরা আজো আমাদের স্বাধীনতার অর্থ খুজে পাইনি।বাংলাদেশের বর্তমান গনতন্ত্রহীনতা,স্বৈরাচারী শাসন আর ইতিহাস বিকৃতির প্রবনতা আমাদের মহান বিজয় আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে।
দেশে বিদেশে বর্তমান সরকারের অবৈধ কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বাংলাদেশের গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ভুমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কানাডা বিএনপি নেতা সর্বজনাব ,মামুনুর রশীদ,মুকসুম তরফদার ,মোস্তাহীদ আহমদ মুকু ,সাফিউদ্দীন আহমদ, রফিকুল ইসলাম, মোঃ মহিউদ্দীন, হুমায়ুন কবীর ,বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ মনিরুজ্জামান খোকন , বিশিষ্ঠ শিক্ষাবীদ প্রফেসর আবিদ বাহার , এম জয়নাল আবেদীন জামীল, আনসারউদ্দীন আহমেদ , কাজী দেলোয়ার হোসেন জনী , নবী হোসেন, এজাজ আখতার তৌফিক,কামরুল হাসান ফারুক হাওলাদার, আকবর বাসার ,জুবের আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন,সদস্য সচিব কানাডা বিএনপি নেতা জনাব নূরনবী রশীদ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কানাডা বিএনপি নেতা ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজু।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ছিলো মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান।এতে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী রুমা কর এবং তরুন প্রজন্মের সম্ভাবনা ইলমা খন্দকার।
সবশেষে অতিথিদের মুখরোচক রাতের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।