ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের বহুল আলোচিত-সমালোচিত আওয়ামী সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল ইসরাম গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টা পর গ্রেপ্তার করা হলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হবিব মাসুদকে ।
ফলে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের থলের বিড়াল ক্রমেই বেরিয়ে আসছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
অথচ এই হত্যাকান্ডের পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা মন্ত্রীগন মিডিয়াে এর জন্য সরাসরি জামাত-শিবিরকে দায়ী করলেও তার সপক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমান তারা দিতে পারেনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে নিজ বাসা থেকে আহসান হবিব মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, এমপি লিটন হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারী কয়েকটি সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার দুপুরে এমপি লিটনের সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহচর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে র্যাব আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে।
প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন এমপি লিটন। এ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এপর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।এরমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জেলহাজতে প্রেরণ এবং অন্যদের জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।
৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য। ঘটনার পর থেকে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, পিবিআইসহ দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দারা হত্যাকাণ্ডের মূল ক্লু উদ্ঘাটনের জন্য রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারা এখনো হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ উদঘাটন করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ উদঘাটন করতে না পারলেও তারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করতে পেরেছে। যা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারে। আর সেদিকেই হাঁটছে তারা।