ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি অবৈধ হাসিনা সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের বানোয়াট মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সরকার জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করাচ্ছে।
বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১/১১ সরকারের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। কিন্তু ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ আক্রোশমূলকভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে জিয়া পরিবার তথা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নানাভাবে হয়রানি করে চলেছে।
তিনি বলেন, এখন দেশে কোন গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাকস্বাধীনতা বলতে কিছু নেই, চারদিকে চলছে ভয়াবহ দূঃশাসন আর নিপিড়ন। নির্মম নির্যাতন, নিপীড়ন ও রক্তাক্ত জনপদের নগরীতে পরিনত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ। অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘদিন কুক্ষিগত করে রাখতে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। নাৎসী সরকার বিরোধীদলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে নাজেহাল করার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে হেয় করা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ তথা সকল বিভাগই এখন সরকারের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছে। বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন। আমি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, রামপালে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তৈল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতাল চলাকালে প্রতিবাদী জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা, টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষন চালিয়েছে এবং খবর সংগ্রহকালে দুইজন সাংবাদিক পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি বিএনপি’র পক্ষথেকে পুলিশি পৈশাচিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।