ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ *২০০৯ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছিলেন, সব ধরনের ফতোয়া নিষিদ্ধ করা হবে।
*প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম পারিবারিক আইনের বিরোধীতা করে বলেছিলেন, সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করা হবে।
*একই বছর (২০০৯) পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ধর্ম হচ্ছে তামাক ও মদের মতো একটি নেশা।
ধার্মিক হলে সৌদি আরব চলে যান,এদেশে ধার্মিকের কোনো স্থান নেইঃ সুরন্জিত সেন গুপ্ত
*রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ব্যাঙের ছাতার মতো কওমী মাদরাসাগুলো গজিয়ে উঠেছে,এদের বিস্তার রোধ করা প্রয়োজন।
মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ না করলে বাংলাদেশে অরাজকতা থামবে না : সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
*১০ ডিসেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেছেন, রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন।
*বিশ্বকাপের উদ্বোধন উপলক্ষে জাতীয় মসজিদের আসর, মাগরিব ও এশা এই ৩ ওয়াক্তের আযানের সময় মাইক বন্ধ রেখে চরম হীনমন্যতার পরিচয় দেয় আওয়ামী লীগ। তাছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রা দেখানো হলেও পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত হয়নি। এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা!? ঢাকা মসজিদের শহর এটা বিশ্ববাসী জানলে কি ক্ষতি হতো?
* মতিয়া চৌধুরীর দাবি, আওয়ামী কর্মীরাই নবী (সঃ) এর প্রকৃত উম্মত।
*এছাড়া মার্চের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে শুরু করা হয়।
*ড. জাফর ইকবাল সরাসরি পর্দার বিরুদ্ধে কলাম লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ….মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক। তার মানে বোরকাকে তিনি নারীর জন্য জেলখানা বা বাঁধা হিসেবে বুঝাতে চেয়েছেন। প্রথম আলো- ০৪-১১-২০১১
*‘‘সংবিধান থেকে ধর্মের কালো ছায়াও একদিন মুছে ফেলবো' জাতীয় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
*‘আমি হিন্দুও নই, মুসলমানও নই' আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ।
*'পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে খলিফাতুল মোসলেমীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন খলিফাতুল মুসলিমিনদের একজন। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বশূন্য অসহায় দরিদ্র মুসলমান তথা সারা বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর আপসহীন লড়াইয়ের কারণে বঙ্গবন্ধুই সারা বিশ্বের মুসলমানদের একমাত্র অভিভাবক ছিলেন।
তারা বলেন, আমাদের ঈমানই হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। যারা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করেন তারা কুরআনকে অস্বীকার করেন। তারা বলেন, 'বাংলাদেশ-জিন্দাবাদ' কোনো ফজিলত নেই কিন্তু 'জয় বাংলা' শ্লোগানে বরকত ও ফজিলত আছে।(নভেম্বর ২৬, ২০০৯, নয়া দিগন্ত)
*প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ২ এপ্রিল ,২০১১ ,আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত এক সভায় বলেন, দেশে ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ। আর এ ইসলামের প্রবর্তক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতারা রোজা রাখে ঠিকই, কিন্তু ইফতার করে হুইস্কি দিয়ে।
*''সেনাবাহিনী ফেরেশতা নয় যে তারা এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেনাবাহিনী কেন খোদ আল্লাহতায়ালা নেমে আসলেও কিছু করতে পারবে না।'' – সিইসি রাকিবউদ্দীন আহমদ।
*"আল্লাহ যদি লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর বিচার করতে পারেন তাহলে আমরা কেন ৪০ বছর পর বিচার করতে পারব না ?" আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম – ২০ মার্চ ২০১০
*আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কৃষি মন্ত্রী, ও সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী হালে নতুন উম্মতের সন্ধান দিয়েছেন। বিএনপি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, তারা রাসূলে পাক (সা.)-এর ইসলামে বিশ্বাস করে না। বিএনপি হচ্ছে জিয়াউর রহমানের উম্মত, তাদের দোসর জামায়াত হচ্ছে নিজামীর উম্মত, আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা মহানবীর (সা.) উম্মত (আমার দেশ, ২১ মার্চ, ২০১০)
*সুযোগ করে দেয়ার জন্য ফতোয়া দরকার, যদিও ফতোয়ার ব্যপারে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে তা সত্বেও বাংলাদেশ জাতীয় মুফতি ঐক্য পরিষদ (বামুপ) থেকে ফতোয়ায় বলা হয়েছে "বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরোধিতা করা তথা আওয়ামী লীগের সমর্থন না করা কুফরি" অতএব, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, সে যত বড় আলেমই হোক না কেন। (নয়া দিগন্ত, নভেম্বর ৩১, ২০০৯)
*"শেখ হাসিনার নির্দেশ মানা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের জন্য ইবাদত" বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম! (নয়াদিগন্ত,মে ৬, ২০১০)
*"বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক ওয়াক্ত নামাজও পড়েন না এবং এমন কোনো ইসলাম বিরোধী কাজ নেই যা তিনি করেন না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন প্রতিদিন তিনি নামাজ আদায় ও কোরআন তেলোয়াত করেন।" আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ। ২৭ মে ২০১০- বিডিনিউজ
*আওয়ামী লীগের অতি আস্থাভাজন মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ইসলামী দল নিষিদ্ধ হবে না। দুই-তিনটি জঙ্গি দল নিষিদ্ধ হবে। শেখ হাসিনা আমাকে তা স্পষ্ট করে বলেছেন। (নয়াদিগন্ত, ১ এপ্রিল, ২০১০)।
*‘বিসমিল্লাহ বললে কী হয়? প্রার্থনা দিয়ে কিছু হয় না। কেননা, ফিলিস্তিন মুক্ত করার জন্য মক্কায় যে প্রার্থনা করা হয় তা কবুল হলে এত দিনে ফিলিস্তিন মুক্ত হয়ে যেত।' ইউনিসেফের বিশ্ব শিশু পরিসি'তি রিপোর্ট প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় পরিকল্পনাসচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২
* "সভা সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা ও কুরআন পড়ার দরকার নেই এসব করলে পবিত্রতা নষ্ট হয়",বলেছেন সুরন্জিত সেন গুপ্ত।
*ঢাকা বিশ্ববিরমনার কালিমন্দির উদ্বোধনকালে আওয়ামী লীগ এমপি সুধাংশু শেখর হালদার বলেছিল, মাওলানা, মৌলভী ও মোল্লাদের কেটে তাদের রক্ত 'মা কালির ' পায়ের নিচে না দিলে মা কালি জাগবে না।
* আমি হজ ও তবলিগের ঘোর বিরোধী : মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জামায়াতে ইসলামীর বিরোধী। তার চেয়েও বেশি বিরোধী হজ ও তাবলীগ জামাতের।’ তিনি বলেন, এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোন কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। মন্ত্রী বলেন, এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। তিনি হজের শুরু প্রসঙ্গে বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।
যারা টক শোতে যায়, তারা টক ম্যান। নিজেদের কোনো কাজ না থাকায় ক্যামেরার সামনে গিয়ে তারা বিড়বিড় করে। ‘চুদির ভাইদের’ আর কোনো কাজ নেই।