ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্টির দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ ব্যাপক অবদান রেখেছে বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হাসিনা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য কমায় না, যারা এই ঋণের ব্যবসা করে তাদেরই প্রচুর লাভ হয়। আর অর্থমন্ত্রী এসব বিবেচনায় না নিয়ে এমন একজনের প্রশংসা করেছেন যার হীন আতাতের কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়ে গেছে।
হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য লালন পালন করা হয়। যারা ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা করেন, তারাই সম্পদশালী হন। কারণ, সপ্তাহে সপ্তাহে উচ্চ হারে সুদ দিতে হয়। গরিবের মেয়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে টাকা কামাই করে সে টাকা সুদেই চলে যায়। সে কোনোমতে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু দারিদ্র্যের হাত থেকে কখনও উঠে আসতে পারে না। যারা এই ব্যবসা করে, তারা চায়ও না এরা দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। কারণ দারিদ্র্য থেকে উঠে এলে তাদের ব্যবসাই চলে যাবে। তখন তারা কাকে নিয়ে ব্যবসা করবে?
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার দুঃখ লাগে সেদিন তিনি (অর্থমন্ত্রী) এমন একজনের প্রশংসা করে ফেললেন, যার কারণে আমার পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিলো ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। অথচ তিনি তার(ড.ইউনুস) প্রশংসায় পঞ্চমুখ।’
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, আমার সরকারের পদক্ষেপের ফলেই বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে এবং হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মাল মুহিত।
তিনি বলেছিলেন, 'একসময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এই ভূমিকাটি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে।'